
বিজ্ঞপ্তি : শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ, বাগেরহাট-এর মেধাবী ছাত্র অনিক অধিকারীর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাগেরহাট জেলা কমিটি’র উদ্যোগে গত ১৫ জুন ’২৩ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফকিরহাট উপজেলাধীন বেতাগা ইউনিয়নের শ্রীরামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘অনিক স্মৃতি পরিষদ’-এর সভাপতি শীলাদিত্য বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় কৃষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহম্মদ মোড়লের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড অধ্যাপক ড. সুশান্ত দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাগেরহাট জেলা কমিটি সভাপতি কমরেড এ্যাড. শেখ মহিউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রবীন্দ্র নাথ দেবনাথ। সভার শুরুতে অনিক অধিকারীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ০১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। সভায় অনিক অধিকারীর নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন অনিক অধিকারীর পিতা আকুল অধিকারী। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড বীর মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ চট্টোপধ্যায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তুষার কান্তি দাস, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ এম ইকবাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওায়র্কার্স পার্টি, মোংলা উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক কমরেড বীর মুক্তিযোদ্ধা নীরেন্দ্র নাথ অধিকারী বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাগেরহাট জেলা কমিটি’র সাবেক সভাপতি নীল কমল বালা, বেতাগা ইউপি সদস্য অজয় কুমার বিশ্বাস। আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারাপদ অধিকারী, এস এম আলী আকবর শেখ, চঞ্চল তরফদার, পতিত পাবন অধিকারী, সঞ্জয় হালদার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের নিরীহ কৃষক আকুল অধিকারীর একমাত্র শহীদ স্মৃতি কলেজের মেধাবী ছাত্র অধিকারীকে ক্ষমতার দম্ভে লিপ্ত একদল পাষণ্ড নির্মমভাবে হত্যা করে পৈচাশিক কায়দায় বস্তায় ভরে চিংড়ি ঘেরের ক্যানেলে ডুবিয়ে দেয়। সাতদিন পর গলিত লাশ উদ্ধার হলে জনগণ প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দীর্ঘদিন পরও এই নারকীয় ঘটনার আর কোনো-ই অগ্রগতি হওয়ায় এবং এহেন মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের আশ্চর্যজনক নির্লিপ্ততায় বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ ও হতাশা ব্যক্ত করেন। বক্তারা আরও বলেন, নিদারুণ বেদনাহত একমাত্র পুত্রহারা বাবা-মা’কে সাস্ত¡নার দেবারমত কোনো ভাষা আমাদের নেই। আমরা এ পৈশাচিক জঘণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে অবিলম্বের দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।