জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে একটি ট্রেনে আগুন লাগার গুজবের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়ে আরেক টেনের নিচে কাটা পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাচোরার কাছে মাহেজি এবং পারধাদে স্টেশনের মধ্যবর্তীস্থানে বুধবার ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বুধবার ১২ জন নিহতের খবর দিলেও বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। বিশাল যাদব নামে এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ট্রেনের চালক ব্রেক কষলে কয়েকজন যাত্রী চাকায় আগুনের ফুলকি দেখেন। তার পরেই রটে যায়, গাড়িতে আগুন লেগেছে।
তখন যাত্রীরা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পাশের লাইনে নামতে থাকে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী আরেকটি ট্রেনের নিচে অনেকেই হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন চালক ব্রেক কষেছিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রেলের একটি সূত্র বলছে, ট্রেনের চেন টানা হয়েছিল। সে কারণে যাত্রীরা নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কেন চেন টানা হয়েছিল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
যাদব জানিয়েছিলেন, গুজব শুনেও তিনিও নামতে গিয়েছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন। যাদবের কথায়, ‘আমরাও ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেছিলাম। তখন দেখি উল্টো দিক থেকে পাশের লাইনে ট্রেন আসছে। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা। আমি সঙ্গে সঙ্গে আবার ট্রেনে উঠে পড়ার চেষ্টা করি। তাতেই আহত হয়েছি। পিটিআইকে রেলের এক কর্মকর্তা জানান, পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি জেনারেল কামরা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল বলে শোনা যায়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ‘ব্রেক বাইন্ডিং’-এর কারণে ওই ধোঁয়া বের হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের মু্খ্যমন্ত্রী এখন দাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর সম্মেলনে রয়েছেন। সেখান থেকেই নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
আহতদের চিকিৎসার ভারও তার সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ, নিহত বেড়ে ১৩

Leave a comment