জন্মভূমি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। কারও কাছে মাথা নত করি না, করব না।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
টাকা দিয়ে ফরিদপুরের মানুষকে কেনা যাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সরকারে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছি। এতে অনেকে টাকাওয়ালা হয়েছে। এখন তারা টাকা ছড়ায়। মনে করে টাকা দিয়েই কেনা যাবে। তবে একটা কথা বলতে চাই, টাকা দিয়ে মানুষ কেনা যায় না। টাকা দিয়ে ফরিদপুরের জনগণকে কেনা যায় না। ফরিদপুরের মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে। যেহেতু তারা জানে মাথা নত করি না, এজন্য চক্রান্ত আরও বেশি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেয়নি বলে ষড়যন্ত্র করে আমাদের আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এককভাবে ২৩৩টি সিটে জয়ী হয়। আর বিএনপি মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। যে কারণে তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৩ এই ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হই। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে জয়লাভ করে। আর এই বিএনপি বড় বড় কথা বলে, লম্পঝম্প করে, তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। যে কারণে তারা ২০১৪ তে নির্বাচন করেনি। ২০১৮ তে নির্বাচনে প্রার্থী বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য করে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে সরে যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ৮ হাজারের ওপরে ডিজিটাল সেন্টার আজকে আমাদের দেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে দিয়েছি।
জনসভায় মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মাগুরা , রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার সব আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।
দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর পৌঁছে সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের জনসভায় যোগ দেন। জনসভা মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগান ও অভিবাদন দিয়ে বরণ করে নেন।