জন্মভূমি ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেল ৩টার পর এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দুইপক্ষ একে অপরের দিকে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে ছাত্রলীগে হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- ইসকায়া (২৪),শাহিনুর(২৪),ফাহমিদা(২১), সীমা (২১), তামান্না (২৪), সায়মা (২৫), আশিক (২৪), মাহমুদুল (২৩), ইয়াকুব (২১), কাজী নাফিজ আফজাল(২৪) ও মাসুদ (২৩), সাইমন রেজা (২৬), সাকিব (২২), জহির (২২)।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে সমাবেশ করতে আসে ছাত্রলীগ। তবে রাজু ভাস্কর্য এলাকা দখল করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিজয় একাত্তর হলে অবস্থান নেন। পরে তারা হলের তালা লাগিয়ে ভেতর থেকে ইট ছুড়তে থাকেন। শিক্ষার্থীরাও হলের দেয়ালের ওপর দিয়ে পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা হল গেটে হামলা চালিয়ে লোহার গেটে ধাক্কা দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীরা-‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, তুমি নই, আমি নই, রাজাকার রাজাকার, ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিকে থাকেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে আসা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার রাত ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে মধ্যরাতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে জড়ো হয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী নানা স্লোগান দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে মধ্যরাতে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে আবার বিক্ষোভ ডাকেন তারা।