By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নে জরুরী ‌‌পদক্ষেপ নিতে হবে
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নে জরুরী ‌‌পদক্ষেপ নিতে হবে
তাজা খবরসাতক্ষীরা

উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নে জরুরী ‌‌পদক্ষেপ নিতে হবে

Last updated: 2025/05/17 at 2:04 PM
করেস্পন্ডেন্ট 1 month ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৈরী আবহাওয়া, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন, অতিমাত্রার লবণাক্ততার প্রভাব, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, সুপেয় পানির তীব্র সংকটসহ নানান প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতায় সর্বদা কোণঠাসা উপকূলের মানুষ। একদিকে যেমন বারবার ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান নি¤œ থেকে নি¤œতর পর্যায়ে চলে যায়, অন্যদিকে ধুঁকে ধুঁকে চলা বিধ্বস্ত উপকূলবাসীর সামনে আয় ইনকামের সঠিক নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম না থাকায় তাদের অভাব অনটন, সাংসরিক টানাপোড়ন সর্বদা তাড়িয়ে বেড়ায়। মাটি ও পানির অতিমাত্রায় লবণাক্ততা, মৌসুম ভেদে অতিরিক্ত পানি আবার বিপরীতক্রমে খরার প্রভাবে কৃষি বা মৎস্য চাষে উপকূলবাসীর জীবনমানের দৃশ্যত তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও তারা পারে না তাদের ভাগ্যের চাকাকে ঘোরাতে। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে উপকূলবাসী অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বসবাস করে এমনটাই উপলব্ধি এনে দেয় যেন। জন্মই যেন তাদের আজন্মের পাপ। একারণে উপকূলবাসী সর্বদা মেনে নেয় যে দুঃখ দুর্দশা সাথে করে নিয়েই তাদের চলতে হবে এবং এটাই নির্মম বাস্তবতা। তবে তাদের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে সুপেয় পানির সংকট অতি তীব্র। ‘পানিই জীবন, পানিই মরণ’ উপকূলবাসীর জন্য এ ধরনের কথাগুলো খুবই প্রযোজ্য। কেননা উপকূলীয় অঞ্চলে মৌসুম ভেদে কখনো কখনো পানির আধিক্য থাকলেও বছরের বেশিরভাগ সময় সুপেয় পানির তীব্র অভাব থাকে। আবার পানির আধিক্য থাকলেও তার সবটাই লবণাক্ত এবং পানের অযোগ্য। এই সংকট সমাধানে সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপ প্রশংসানীয় বলা যায়। কিন্তু তাতেও উপকূলবাসীর তেমন সুসার হচ্ছে না।
সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও উপকূলবর্তী প্রতিটি পাড়ায় একের অধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এসব নলকূপের বেশিরভাগেরই পানি পানের অনুপযোগী। অধিকাংশ গভীর নলকূপের পানির রং লালচে এবং এই পানি স্বাদে ও মানে বোতলজাত পানি অপেক্ষা বেশ আলাদা। তাছাড়া ব্যবহারকারীদের গভীর এসব নলকূপ থেকে হাতে চেপে পানি বের করা বেশ কষ্টসাধ্য। উপরন্তু গ্রীষ্ম মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর এসব নলকূপ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন হাতে চেপে পানি বের করা একরকমের দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সুগভীর এসব নলকূপের পানির গুণগত মান এবং রং ভালো না হওয়ায় বাধ্য হয়ে উপকূলবাসী পানির বিকল্প উৎস খুঁজতে থাকে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় পানির বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। আশাপাশে যেসব জলাশয় থাকে সেগুলো অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকে এবং গ্রীষ্মের খরতাপে সেগুলোও শুকিয়ে যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে চারপাশে পানির আধিক্য থাকলেও অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকার কারণে সেই পানি পানের পুরোপুরি অনুপযোগী থাকে।
তবে কিছু এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে পাইপ লাইনে পানি সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা আছে। এসকল পাইপলাইনে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়। পাইপলাইনের আওতাধীন উপকূলবাসীরা এই পানি পানের জন্য ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাহককে পানির ব্যবহারের পরিমাণের উপর নির্ভর করে বিল পরিশোধ করতে হয়। উদাহরণসরূপ ৪/৫ জনের একটা পরিবারের জন্য পাইপলাইনে সরবরাহকৃত পানি শুধুমাত্র খাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলেও গ্রাহককে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিল দিতে হয়। নুন আনতে পান্তা ফুরানো এসকল উপকূলবাসীর জন্য প্রতি মাসের খাবার পানি বাবদ এই বিল পরিশোধ মরার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মনে হয়। এছাড়া কিছু কিছু ব্যক্তি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে পানির পাম্প স্থাপন করে ভূ-গর্ভস্থ পানিকে পরিশোধন করে বিক্রি করে। পরিশোধিত এই পানি গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে পরিবহন ব্যয়েরও একটা বাড়তি ঝামেলা আছে। একদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ভূগর্ভ থেকে পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে সেগুলো রাসায়নিক দ্বারা বা ফিল্টার দিয়ে বিশুদ্ধ করে পুরোপুরি পানের উপযোগী করতে মূল্য মোটামুটিভাবে বেড়ে যায়। অন্যদিকে তার সাথে ব্যবসায়ীর লভ্যাংশ যোগ করলে মোট মূল্য বেশ বেশিই বলা যায়। সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে পানির পিছনে বাড়তি এত বিনিয়োগ বেশিরভাগ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। আর্থিকভাবে সচ্ছল অনেক ব্যক্তি এখান থেকে পানি কিনে প্রয়োজন মিটালেও অধিকাংশ উপকূলবাসীর জন্য এটা ফিজিবল না। এছাড়া দৈনন্দিন গোসল, রান্নাবান্না, কৃষি কাজ, গৃহস্থলির অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা পানির চাহিদা তো আছেই। পানির লবণাক্ততা অতিমাত্রায় হওয়ায় এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভোগান্তি এতটা চরমে পৌঁছায় যেটা স্বচক্ষে অবলোকন ব্যতীত অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি অনেক এনজিও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও জনগণের ভোগান্তি নিরসনে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এসকল এলাকায় বাসাবাড়িতে বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতায় এবং অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বড় বড় পানির ট্যঙ্ক স্থাপন করলেও এই ট্যাঙ্কে ধারণকৃত পানি গ্রামবাসী বেশিদিন ব্যবহার করতে পারে না। সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষিত এসব পানির ট্যাঙ্কে সংরক্ষিত পানি বেশিদিন বিশুদ্ধ থাকে না। নানান ধরনের ব্যাক্টেরিয়া, পোকামাকড়, অণুজীবের আধিক্যের কারণে ট্যাঙ্কে ধারণকৃত পানিও দূষিত হয়ে যায়। পানিতে ফাঙ্গাস জন্মে। বিভিন্ন অণুজীবের আক্রমণে স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আহরিত পানি গন্ধ হয়ে পানের অনুপযোগী হয়ে যায়। আবার বর্ষাকালে সংগৃহীত পানির স্টোরেজ ট্যাঙ্ক পরবর্তী বর্ষার আগ পর্যন্ত পরিবারের চাহিদাকৃত পানির চেয়ে পরিমাণে কম হওয়ায় প্রতিটি পরিবারকে পানির সংকুলান করতে হিমশিম খেতে হয়। উপকূলীয় এসব এলাকায় প্রায় প্রতি বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপিত আছে। কিন্তু এসব অগভীর নলকূপে অতিমাত্রায় আর্সেনিক, আয়রন, লেডসহ অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি এবং ঐ পানির লবণাক্ত স্বাদ থাকায় পানের উপযুক্ত নয়। পান ব্যতীত গৃহস্থলির অন্যান্য টুকিটাকি কাজ কিংবা গোসলে এই পানি ব্যবহার করা গেলেও শুকনো মৌসুমে অগভীর নলকূপের পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। তাছাড়া অনেকে জেনে কিংবা না জেনে অগভীর এই নলকূপের আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্মুখীন হচ্ছে নানা ধরনের পেটের পীড়ায়। যেটা উপকূলবাসীর জন্য চরম হুমকি।
উপকূলবাসীর জীবনধারণের প্রধান উপজীব্য এই পানিকে কেন্দ্র করে। কেননা উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষ সেখানকার একমাত্র অবলম্বন। এই চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরগুলোতে বছরের পুরো সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন পানির প্রয়োজন। যেখানে নিয়মিত জোয়ার ভাটার মাধ্যমে চিংড়ি ঘেরের পানির পরিবর্তন আবশ্যক। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এসব অঞ্চলে বছরের প্রায় ৬ মাসেরও অধিক সময় উপকূলবাসী পানি পায় না। চিংড়ি ঘেরে পানি সরবরাহের জন্য যেসব নদী আছে সেগুলো এখন পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এছাড়া ক্ষমতাসীন অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধ তৈরি করে চিংড়ি ঘেরে সরবরাহকৃত পানি দেওয়া নদীগুলোকে অত্যাধিক সংকুচিত করার কারণে সেগুলো দিয়ে পানি সরবরাহ এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য পানিরii প্রবাহ হলেও বর্ষা শেষ হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। এছাড়া প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের বেশ আগেভাগেই চিংড়ি চাষের উপযুক্ত সময় শুরু হয়ে বর্ষা মৌসুমে একটু মন্থর হয়ে আসে এবং এর পরবর্তী সময়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে পানির অভাবে চিংড়ি চাষেরও পুরোপুরি অনুপযোগী দেশের দক্ষিণাঞ্চল।
চিংড়ি চাষের জন্য চিংড়ি ঘেরগুলোতে পানির আদর্শ যে গভীরতা থাকার দরকার পর্যাপ্ত পানির অভাবে সেটা কোনভাবেই অনুসরণ করা যাচ্ছে না। ফলে সূর্যের প্রখর তাপে চিংড়ির স্বাভাবিক বাসস্থান বিনষ্ট হচ্ছে। চিংড়ি মারা যাচ্ছে। এছাড়াও পানি কম থাকায় চিংড়ি ধরার উপযোগী হওয়ার পূর্বেই নানা ধরনের রোগ বালাই দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত এসব চিংড়ি ধরার উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে ঘেরের মধ্যেই মারা যাওয়ায় ঘের মালিক ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চিংড়ি চাষিরা বর্তমানে চিংড়ি চাষ হতে লাভ তো দূরের কথা সারাবছরের বিনিয়োগকৃত টাকাও উঠাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে বছরের পুরো সময়টায় উপকূলবাসী অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চিংড়ি উৎপাদনে আনুষঙ্গিক সকল খরচের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে চিংড়ির বাজারমূল্যের নেতিবাচক প্রভাব চিংড়ি চাষিদের অনেকটা কোণঠাসা করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে উপকূলবাসী না পারছে চিংড়ি চাষকে ছেড়ে দিতে আবার না পারছে চিংড়ি চাষে লাভবান হতে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চিংড়ি চাষে ব্যাপক ক্ষতি, পানির অভাব, দৈনন্দিন খরচ বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলবাসীকে চরমভাবে কোণঠাসা করেছে। বাধ্য হয়ে অনেকে চিংড়ি চাষের জন্য ব্যবহৃত আবাদি জমিতে ফসল ফলাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কিন্তু সেখানেও রয়েছে নানান প্রতিবন্ধকতা। অতিমাত্রার লবণাক্ততাকে এক্ষেত্রে অধিক দায়ী করা যেতে পারে। এছাড়া কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত পানির অভাব তো আছেই। এই সমস্যা সমাধানে লবণাক্ত সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা অতীব জরুরি। কিন্তু এখানেও পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে। অভাব রয়েছে লবণাক্ত সহনশীল বীজ উদ্ভাবন, স্বল্প পানির উপস্থিতিতে কীভাবে এসব উদ্ভিদ টিকে থাকতে পারবে সেটা নিয়েও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
চিংড়ি ধরার উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে কেন মারা যাচ্ছে সেগুলোর কারণ খুঁজে কীভাবে চিংড়ি চাষ থেকে লাভবান হওয়া যায় সে বিষয়ে মৎস্য গবেষকদের যথেষ্ট ভূমিকা রাকা প্রয়োজন। চিংড়ি চাষের জন্য যদি পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা না যায় তাহলে চিংড়ি চাষ থেকে লাভবান হওয়া দুঃসাধ্য। তবে এক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন প্লট আকারে জলাশয় তৈরি করে মৎস্য চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। যেখানে বৈজ্ঞানিক উপায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অন্যান্য মাছ চাষ করার যেতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত বর্ধনশীল নাইলোটিকা, মনোসেক্স, রুই, মৃগেল, গলদা চিংড়ির পাশাপাশি বাগদা চিংড়ি অধিকতর উপযোগী। এসকল জলাশয়ের বেড়ি বাঁধের উপরেও বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করা যেতে পারে। ফলে একই সাথে মাছ ও সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত কম লবণাক্ত এলাকায় এ ধরনের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে শুরু হলেও সেগুলোর পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন। বিশেষ করে অধিক লবণাক্ত এলাকায় কীভাবে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে উপকূলবাসী লাভবান হতে পারে সে বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তি পর্যায়ে না করে সামষ্টিক পর্যায়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলবাসীর নিত্যসঙ্গী। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার সময়ে উপকূলবাসীর সীমাহীন দুঃখ দুর্দশা তো আছেই। কিন্তু দুর্যোগ পরবর্তী সমস্যা মোকাবেলা উপকূলবাসীর জন্য আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। অন্যসকল দুর্দশার সাথে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। উপকূলবাসীর এই দুর্দশা লাগবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পানি নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন। যদিও এ ধরনের অনেক গবেষণা চলমান রয়েছে কিন্তু সমস্যা সমাধানে তেমন আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সর্বোপরি উপকূলবাসীর দুর্দশা লাগবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী হোয়াইট গোল্ড নামে খ্যাত চিংড়ি চাষে গতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের যথোপযুক্ত গবেষণার সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে এই গবেষণার পেছনে সরকারের বাড়তি বিনিয়োগ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোকে স্থানীয় মৎস্য ও কৃষিজীবী মানুষের জীবন ধারার সঙ্গে সমন্বয় করার পরিকল্পনা করতে হবে। অতিদ্রুত উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি ঘেরে পানি সরবরাহকারী নদীগুলো খনন করে চিংড়ি ঘেরে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের সুযোগ করে দিতে হবে। উপকূলীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ নজর দিতে হবে। শহর রক্ষা বাঁধ, সড়ক, রাস্তা, বাজার, আবাসন, স্যানিটেশন, স্কুল, কলেজ, বিদ্যুৎ, জ্বালানির টেকসই পরিকল্পনা ইত্যাদির বিষয়ে কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি আগামী দিনে বঙ্গোপসাগরকেন্দ্র্রিক সমুদ্রঅর্থনীতি বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করতে হবে। চিংড়ি চাষকে লাভজনক করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি দাতা সংগঠনগুলোসহ সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

করেস্পন্ডেন্ট May 18, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সুন্দরবনের জলসীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির ‘ভাসমান বিওপি’
Next Article মোরেলগঞ্জে ভাইয়ের ভাই খুন
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

June 2025
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« May    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
জাতীয়তাজা খবর

নতুন টাকা নিয়ে বিড়ম্বনা, যেসব সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা

By করেস্পন্ডেন্ট 8 minutes ago
যশোর

যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর মৃত্যু

By করেস্পন্ডেন্ট 8 minutes ago
জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তির ফল প্রকাশ আজ, জানবেন যেভাবে

By করেস্পন্ডেন্ট 9 minutes ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

জাতীয়তাজা খবর

নতুন টাকা নিয়ে বিড়ম্বনা, যেসব সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা

By করেস্পন্ডেন্ট 8 minutes ago
জাতীয়তাজা খবর

এসএসএফের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান : প্রধান উপদেষ্টা

By করেস্পন্ডেন্ট 42 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১১ লক্ষ টাকার পন্য আটক

By করেস্পন্ডেন্ট 3 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?