সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন।
তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
শ্যামনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। শ্যামনগর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায়। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছেন জমকালো ভাবে। যা ইতিপূর্বে শ্যামনগর উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।
সম্প্রতি ছাত্রদের নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজারের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পৌরবাসীকে দীর্ঘদিনের ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছাত্রদের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এই ইউএনও। সব মহলের চাপকে উপেক্ষা করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ‘ সংরক্ষণে অবৈধ দখলীকৃত মাঠের জমি উদ্ধার করে ও বিভিন্ন এলাকায় মাদকাসক্তদের আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে তারই দূরদর্শিতায়।
মাদকমুক্ত শ্যামনগর উপজেলা গড়তে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেন তিনি। শ্যামনগর পৌরসভায় রাজনৈতিক যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম বন্ধ করে দেন তিনি,লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে হয়রানিমুক্তভাবে শুধুমাত্র সরকারি ফি’তে লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ দুই বছর শ্যামনগর পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল তাতে ভোগান্তি পেয়েছে হাজার হাজার মানুষ ইউএনও রনি খাতুনের একান্ত প্রচেষ্টায় ইতিমধ্য শ্যামনগর পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন প্রদানের সার্ভার আবার চালু করা হয়েছে সেখান থেকে জনগণ প্রতিদিন জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের সুবিধা ভোগ করছেন,,
তিনি মাত্র পাঁচ মাস শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান।শক্তহাতে টেনে ধরেন অবৈধভাবে হাট দখল, ভূমিদস্যু, খাস জমি, দখলদারদের লাগাম। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে পেতে শুরু করেছে। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমুলক কাজ করে দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। মাস দুই এক আগে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন দলের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করে শুধু ১৪৪ ধারা জারি করে রনি খাতুন অফিসে বসে থাকেনি যাতে রক্ত খেয়ে সংঘর্ষ না হয় সেজন্য তিনি মাঠে নেমে দুই পক্ষকে দৌড়ঝাঁপ করে শান্ত করেছেন যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুনাম কিনেছে সারা দেশের মানুষের কাছে,, মাত্র পাঁচ মাসে উপজেলার প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদদ্রুব্য, ভোক্তা অধিকার, মটরযান, ও অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পকুর খনন বন্ধ করে ভেকু মেসিন জব্দ করা অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা অবৈধ ডেম্পার বন্ধ করা সহ ১০০ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন জন কে অর্থ দ্বন্দ্বের আদেশ প্রদান করেন এবং কয়েক জন কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং জরিমানা আদায় করা পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সহ হয় প্রায় ৫ ০লাখ টাকা, বিভিন্ন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধ হাট গুলো বন্ধ করে দিয়ে তিনি নজির স্থাপন করেছেন জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ছাড়া অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় উপজেলার বহু সরকারি রাস্তা, খাল, জলাশয়, নদী ও হাট-বাজার।সর্ব ক্ষেত্রেই রয়েছে এই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদচারণা। দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান মাঠ-ঘাট। কথা বলেন উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে। শোনেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের । পরিদর্শন করেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্প। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোন বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি, প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি সপ্তাহের একদিন করে সাধারণ মানুষের জন্য নিজ কার্যালযে উন্মুক্ত আলোচনা করছেন এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যার নাম দিয়েছেন গণশুনানি।প্রতি সপ্তাহে বারের দিন আসলেই উপজেলা চত্বর যেন অসহায় নির্যাতিত মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সকাল ৯ টা হতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত গণশুনানী করে উপজেলার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনে সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুন। শ্যামনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায়। ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুনের কর্মদক্ষ দেখে আসলেই বোঝা যায় সমাজে নারীরা পিছিয়ে নেই,, তিনি উপজেলায় মানুষের মৃত্যু সহ বিভিন্ন অপরিকার ঘটনার খবর পেলে মুহূর্তের ভিতর অফিস বাদ দিয়ে ছুটে যান মৃত ব্যক্তির বাড়ি অথবা ঘটনাস্থলে,, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মার রনি খাতুন সরকারি মিটিং সেমিনার ছাড়াও বেসরকারি মিটিং সেমিনারে আমন্ত্রণ পেলে ছুটে যান সেখানে গ্রামের নারী পুরুষ মা-বোনদের সাথে মিশে সেখানে মিটিং সেমিনার ছেড়ে আসেন,। শ্যামনাগর উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি দুর্যোগপূর্ণ উপজেলা তাই এই উপজেলায় দুর্যোগের উপর কাজ করার জন্য এনজিওদের চাপ বেশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন প্রত্যেকটি এনজিওদের আমন্ত্রণে হাজির হয়ে তাদের কাজের অগ্রগতি গুণগতমান জেনেশুনে সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য উপদেশ নির্দেশ দিয়ে আসেন,, এভাবেই তিনি শ্যামনগর উপজেলায় অল্প দিনে সব মানুষের কাছে হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছেন,, মোছাম্মৎ রনি খাতুন এর সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা ভালোবাসা আন্তরিকতা আসেন সবাই মিলে একটি সুন্দর ডিজিটাল শ্যামনগর উপজেলা ও পৌরসভা বাস্তবায়নে যা যা দরকার সব সবাই মিলেমিশে কাজ করি
একজন কর্মদক্ষ সফল ও জনবান্ধব শ্যামনগর ইউএনও রনি খাতুন

Leave a comment