জন্মভূমি ডেস্ক : গতবারের মতো এবারের রমজানেও ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইফতারের এই টাকা গরিব মানুষকে নিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ২০২০ ও ২০২১ সালে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশ। এই দুই বছর দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড একপ্রকার বন্ধই ছিল। বন্ধ ছিল বড় পরিসরে ইফতার আয়োজনও। এই দুই বছর ঘরেই ইফতার করে মানুষ।
করোনার প্রকোপ কেটে গেলে ২০২২ সাল থেকে আবারও স্বাভাবিক হতে থাকে মানুষের চলাচল। সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতির মাঠও। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় অন্যান্যবারের মতো রাজনীতিতেও ফেরে ইফতার। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষ্যে ইফতার আয়োজন থেকে সরে আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সিদ্ধান্ত হয়, ইফতার পার্টির টাকায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দলীয় শীর্ষ পর্যায়ের সে সিদ্ধান্ত পালিত হয়েছে তৃণমূল পর্যন্ত৷
এবারও আসন্ন রমজানের বড় ধরনের ইফতার আয়োজন থেকে আওয়ামী লীগ সরে দাঁড়াতে পারে বলে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অবশেষে আজ বিষয়টি পরিষ্কার করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, এবারের রমজানে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইফতারের এই টাকা গরিব মানুষকে নিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।