ক্রীড়া প্রতিবেদক : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হয়েছেন আকিব জাভেদ। স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলেও নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। আপাতত ওয়ানডে ফরম্যাট আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই দৃষ্টি রাখছেন পাকিস্তানেরর সাবেক এই পেসার।
দায়িত্ব পাওয়ার পর আকিব জাভেদের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে নিজের লক্ষ্য নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আমার এই মুহূর্তের লক্ষ্য হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। এই ফরম্যাটে সবাই একটা স্থিতিশীল দল দেখতে পাবে। পরিবর্তন আসবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা নতুনদের সুযোগ দিয়ে দেখতে চাই।’
সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে মূলত বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে চান তিনি। যার পেছনের কারণে হিসেবে বলেছেন, ‘এটা আসলে ওদের জন্য একটা বার্তা যে, সুযোগ এসেছে সেটা লুফে নাও। যদি নতুনদের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে বেঞ্চের শক্তি কখনও উন্নত হবে না।’
পাকিস্তান ক্রিকেটে আকিব জাভেদের আগমন অনেকটা ধূমকেতুর মতো। এই গ্রীষ্মেই শ্রীলঙ্কার ফাস্ট বোলিং কোচ ছিলেন। তখনও পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। ৫ সপ্তাহ আগে সংস্কারকৃত পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটিতে স্থান হয় তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে তাকে ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করেছে বোর্ডের শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট। তাকে এই সিরিজ জয়ের কারিগর হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কোচ হিসেবে নিয়োগের পর পিসিবি এটাও নিশ্চিত করেছে, কোচ থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচক কমিটিতেও থাকতে পারবেন। যে অধিকার পাকিস্তানের স্থায়ী টেস্ট কোচ জেসন গিলেস্পিরও নেই! আর এই অধিকার নেই বলেই গ্যারি কারস্টেন ওয়ানডে কোচের পদ ছেড়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ২২ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে তার কথা, ‘অস্ট্রেলিয়া সফর সহজ ছিল না। দল যখন গেলো, আমরা যদি বলতাম যে সিরিজ জিতবো, তাহলে লোকজন সেটা বিশ্বাসই করতো না। নতুন অধিনায়ক রিজওয়ানের অধীনে আমরা সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি ২২ বছর পর। টি-টোয়েন্টিতেও সুযোগ ছিল। কিন্তু সুযোগ হাতছাড়া জয় সম্ভব হয় না।’
পাকিস্তানের জিম্বাবুয়ে সফর শুরু হবে ২৪ নভেম্বর। তার পর ১ ডিসেম্বর শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ।