জন্মভূমি ডেস্ক : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কন্যা শিশুর উন্নয়নে বড় বাধা বাল্যবিয়ে। বাল্যবিয়ে বন্ধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনের প্রয়োগ ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইন যুগোপযোগী ও বাল্যবিয়ে নিরোধ করতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি রয়েছে।
সরকারের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় কন্যাশিশুদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি কন্যা শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে এবং বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, কন্যা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, বাল্যবিয়ে, সামাজিক ও পারিবারিক কারণে একটি কন্যা শিশুর শিক্ষা ও উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। সরকারের চেষ্টার ফলে ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কন্যাশিশুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, কন্যাশিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সব কন্যাশিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।