কপিলমুনি প্রতিনিধি : কপিলমুনির চলার সাথীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ আব্দুর রহমানের প্রচেষ্টায় এবার যাত্রা শুরু হল নিরব সহযোগীতায় “পরিশোধিত বিল” সিস্টেম। কানাডিয়ান সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি গত ২ মে সকাল থেকে ব্যতিক্রমী এ মানবিক কার্যক্রম শুরু করেন। তার বিশ্বাস তাকে দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবেন এ কার্যক্রমে।
নীরব সহযোগীতার এ কার্যক্রম সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কোন হোটেল রেস্তোরায় কিংবা তৈরি পোশাকের দোকান থেকে তিনি যখন কিছু ক্রয় করবেন তখন, নিজের বিল পরিশোধের পর সমপরিমাণ টাকা তিনি দোকানির কাছে অতিরিক্ত পরিশোধ করবেন। পরবর্তীতে দোকানি তার নিজ দায়িত্বে জমাকৃত অর্থ অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসহ তৈরি পোশাক প্রদানের মধ্য দিয়ে বন্টন করবেন। এক্ষেত্রে দাতার দানের বিষয়টি যেমন উহ্য থাকবে তেমনি ভিক্ষাবৃত্তি নয়, ক্ষুধার্তরা হোটেল-রেস্তোরায় গিয়ে বলবেন তার জন্য কোন পরিশোধিত বিল কিংবা পেনশন মিল বরাদ্দ রয়েছে কিনা? থাকলে দোকানি তাকে বরাদ্দ দিবেন। না থাকলে উপস্থিত সহৃদয় ব্যাক্তিরাও সহযোগীতার হাত বাড়াতে পারেন। এমনি সিস্টেমটি বহুল প্রচার হলে সহৃদয়বান বহু মানুষ এগিয়ে আসবেন মহতি এ উদ্যোগে। আর এমন একদিন আসবে যেদিন বাংলাদেশে কোন অসহায় ক্ষুধার্তকে রাস্তায় রাস্তায় খাবারের জন্য ভিক্ষা করতে হবেনা।
তিনি বলেন, আমৃত্যু তার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্যতম ব্যাতিক্রমী আয়োজনে উদ্বুদ্ধ হয়ে একদিন সারা দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে। প্রান্তরজুড়ে মানষপটে উজ্জ্বল হবে মানবিকতার সোনালী রোদ্দুর। ত্বরান্বিত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অগ্রযাত্রা। একসাথে সবাই গাইবে কাজী নজরুলের সাম্যের গান কিংবা গোটা বাংলাদেশ একদিন রবীন্দ্র নাথের ভাষায় একসাথে গেয়ে উঠবে, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। শেখ আব্দুর রহমানের হাত ধরে পরিশোধিত বিল কার্য়ক্রম ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলায়, এমন প্রত্যশা সাধারণ মানুষের।