কপিলমুনি প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী থেকে স্বল্প মুল্যে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন, ভ্যান, ইজিবাইক সহ বিভিন্ন পণ্য দেয়ার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে কথিত আল-কারিম ট্রাষ্টের প্রধান মুফতি শাখিল আহমেদ নামের এক প্রতারক। প্রতারক শাখিল উপজেলার তকিয়া গ্রামের ছেলে বলে জানাগেছে। গত ২৩ মার্চ মাহে রমজানের শুরুর দিন তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর বন্ধের পর তার এ প্রতারণা প্রকাশ্যে আসে। প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের মাঝে এক প্রকার কান্নাকাটি পড়ে গেছে।
জানাগেছে, কাতার ও দুবাই ভিত্তিক কথিত ট্রাষ্টের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় যতসামান্য মুল্যে পণ্য বিতারণ শুরু করে প্রতারক মুফতি শাখিল আহমেদ। প্রত্যেক এলাকায় এ সব পণ্য বিতারণ ও সার্বিক তদারকির জন্য নিজস্ব প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। যাদের মাধ্যমে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন, ইঞ্জিন চালিত নসিমন, মোটর চালিত ভ্যান, ইজিবাইক বিতারণ শুরু করে প্রতারক চক্র।
তার এ সব এজেন্টরা পন্যের বিনিময়ে সেলাইমেশিন প্রতি ২৫থশ টাকা, বাইসাইকেল প্রতি ৩ হাজার, মোটরভ্যান প্রতি ১০ হাজার, ইঞ্জিন চালিত ভ্যান প্রতি ২০ হাজার ও ইজিবাইক প্রতি প্রথমে ২৫ হাজার পরে চাহিদা বেড়ে গেলে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার পর সিরিয়াল অনুযায়ী প্রদানের আশ্বাস দেয় চক্র। এর আগে স্বল্প মুল্যে বিভিন্ন পণ্য বিতারণে চমক দেখায় তারা।
এলাকার এজেন্টদের মাঝে একপর্যায়ে উৎসব বিরাজ করতে থাকে। তাদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এলাকার মানুষ স্বল্প মুল্যের পণ্যের আশায় টাকা দিয়ে সিরিয়াল দিতে থাকেন। অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ে এজেন্টদের কাছে। কিন্তু এলাকার পরিচিত মুখ এ সব এজেন্টগন যে প্রতারক চক্রের সদস্য ও সুবিধাভোগী তা জানতেন না কেহ। এজেন্টদের দৃঢ়তা ও আশ্বাসের কাছে পরাভুত হয় এলাকার মানুষ। ভুক্তভোগীদের দাবি এজেন্টদের কাছেই তাদের আমানতের টাকা জমা রয়েছে। প্রতারক চক্র শাখিলকে সরিয়ে দিয়ে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করতে পারে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসীর।