কয়রা প্রতিনিধি : কয়রায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে মোশারফ হোসেন (৪৩) নামের এক যুবক।
ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গত দশ বছর আগে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সানার ছেলে মোশারফ হোসেনের সাথে একই গ্রামের মৃত ছায়ফাল গাজীর কন্যা তানিয়া খাতুন (২৬) বিবাহ করেন। সে মোতাবেক গত ১০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ঘর সংসার করা অবস্থায় গত ১/৯/২০২৩ তারিখে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হলে স্ত্রী রাগ করে স্বামীগৃহ থেকে চলে যায় । সেখান থেকে সপ্তাহখানেক পরে স্ত্রী তানিয়া নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দেয়। ভুক্তভোগী স্বামী মোশারফ তালাক গ্রহণ করে সংসারের কাজে মনোনিবেশ করে। তালাকের কয়েকদিন পর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অর্থাৎ গত ৫/১০/২০২৩ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তানিয়া তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন সাথে নিয়ে জোরপূর্বক মোশারফ এর বাড়িতে প্রবেশ করে তার বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের ভিতরের শোকেসের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। এ সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন নিষেধ করলে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মালামাল নিয়ে চলে যায়।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মোশারফ বাড়িতে এসে বিষয়টি নিয়ে কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি থানায় সুরাহা না হওয়ায়। গত ২২/১০/২০২৩ তারিখে কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তানিয়া সহ সাতজনকে আসামি করে ৫৩৫/২৩ নং মামলা দায়ের করে । বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানা কে তদন্তের নির্দেশ দেয়, সে মোতাবেক কয়রা থানা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করে।
ভুক্তভোগী মোশারফ বলেন ,
উক্ত মালামাল ফেরত না দিতে ও মামলা থেকে রেহায় পেতে আমার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট,ও ভিত্তিহীন মামলা থেকে পরিত্রান পেতে ও আসল ঘটনা উদঘাটন করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কয়রায় স্ত্রীর হয়রানীর শিকার যুবক
Leave a comment