কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : সাদা কাপড় দিয়ে হাত-পা, মুখ বাধা মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফাত হোসেন (১২) নামের মাদ্রাসা পড়ুয়া একটি শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। রবিবার ২৭ আগস্ট বিকাল ৫ টায় খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের গড় আমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের ট্যাংকির পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে কয়রা থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
শিশুটি একই ইউনিয়নের ভান্ডারপোল গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ আক্তার হোসেনের ছেলে। স্থানীয় ভান্ডারপোল মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিম খানার হেফজো ২৮ পারার ছাত্র। শিশু আরাফাত হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে সে সুস্থ আছে। এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গড় আমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে বাথরুমের ট্যাংকির পাশে অচেতন অবস্থায় সাদা কাপড় দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন
ভান্ডারপোল মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, শিশুটি মাদ্রাসায় থেকে হেফজো শিক্ষা নেয় হেফজো মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ঘুমের জন্য ছুটি দেয়া হয় সে মোতাবেক সকল ছাত্রকে ঘুমের জন্য ছুটি দিয়ে হুজুর বেরিয়ে যান। বেলা বারোটায় হুজুর ফিরে এসে শিশুটিকে না পেয়ে তার বাড়িতে খবর পাঠায়। বাড়ির লোকজন মাদ্রাসা লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন গড়আমাদী থেকে হাত-পা বাঁধা মুমূর্ষ শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির মা কুলসুম বেগম বলেন, ছেলের জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, ছুটির পর সে না ঘুমিয়ে স্থানীয় মসজিদ থেকে জোহরের নামাজ শেষে বেলা দুইটার দিকে চাঁদ আলী ব্রিজের নিচে কয়রা নদীর চরে কফি হাউজের সামনে এসে দাঁড়ালে মুখে মাক্স পরিহিত অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তার মুখ চোখ বেঁধে ফেলে তারপর আর সে কিছুই বলতে পারেনা।
কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মো: ইমদাদ হোসেন বলেন, শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সে সুস্থ আছে, তার চিকিৎসা শেষে আই নানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।