মোঃ বাবর আলী, কালিয়া : নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। যার ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন বিপাকে। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক রোগীর সুন্নাতে খাৎনা করছেন টেলিমেডিসিন বিভাগে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মাহমুদুল হাসান ও কুকমশালী মোঃ মাহবুব। সুন্নাতে খাতনা নিতে আসা রোগীর স্বজনেরা জানান, আমাগে জানানো হয়েছিল যে ইনারা ডাক্তার। সেজন্য আমরা তাকে দিয়েই সুন্নতে খাতনা দিয়েছি। রোগীর স্বজনেরা আরো জানান, টেলিমেডিসিন অপারেটর কে দিয়ে আমাদের রোগীর সুন্নতে খাতনা দেওয়া হয়েছে এই সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যদি আমাদের সন্তানের কিছু হয়ে যেত তাহলে তো আমাদের বুকের ধণ খালি হত। ডাক্তার ছাড়া সুন্নাতে খাৎনার সময় ডিউটিরত মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রোজিনা আক্তার থাকলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তনিমা জেসমিন কেয়া তিনিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এ সময় ডাক্তার ছাড়া সুন্নাতে খাৎনা দেওয়ার ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীদের গালিগালাজ ও অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন কালিয়া হাসপাতালের অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আমিরুল ইসলাম। এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত ইউ এন্ড এইচএফপিও ডাক্তার পার্থ প্রতিম বিশ্বাস এর বক্তব্য নেয়া জন্য হাসপাতালে খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ডাক্তার ছাড়া সুন্নতে খাতনা দেওয়ার বিষয়ে নড়াইল সিভিল সার্জন মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, ডাক্তার ছাড়া কখনই এ ধরনের অপারেশন করা ঠিক নয়। উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কালিয়া হাসপাতালে অপারেটর ও কুকমশালী দিয়ে সুন্নাতে খাৎনা!

Leave a comment