সোহেল আহমেদ (কালিগঞ্জ) ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কুমার পল্লী গুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। কুমার শিল্পীরা কাজের চাপে রাত দিন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ উপজেলার কুমার শিল্পীদের তৈরি মাটির সৌখিন সামগ্রী দেশের বিভিন্ন স্থান সহ দেশের বাইরেও সরবরাহ হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার মাটির তৈরি সৌখিন সামগ্রীর কদর দেশে-বিদেশে বৃদ্ধি পাওয়ায় সুদিন ফিরে এসেছে এ শিল্পের সাথে জড়িত শত শত দরিদ্র পরিবারে। মাটির তৈরি সৌখিন সামগ্রীর মধ্যে বিভিন্ন ডিজাইনের খেলনা সামগ্রী, ফুলের টব, ফুলদানী, পশু-পাখি, মাছ, মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, ঘটি, বাটি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিদেশে রফতানির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। দাম বেশি পাওয়ায় কুমার পল্লীর মৃৎশিল্পীদের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে কুমার পাড়া গুলো।
কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর, শ্রীরামপুর, সানবান্দা, সিংগী, নগর চপরাইল গ্রামের কুমার পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মাটির সৌখিন সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কুমার সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা। শ্রীরামপুর গ্রামের কার্ত্তিক পাল জানান, তার বাপ দাদারা ও মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিল। বাপ দাদার পথ ধরেই তিনি ও এ পেশাকে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, সিলভার, ম্যালামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমে যাওয়ায় এ পেশার সাথে জড়িত শত শত পরিবার অনেকটা বেকায়দায় পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মাটির তৈরি সৌখিন সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুদিন ফিরে এসেছে দরিদ্র কুমার পরিবার গুলোতে ১০/১২ বছর আগে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলে ও এখন আর সেই দুর্দিন নেই। এ সব সামগ্রী ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে মৃৎশিল্পীদের নিকট থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ পেশার সাথে জড়িত পরিবার গুলোর আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এখন ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে মনোযোগী হয়ে উঠেছে। পড়া লেখার ফাঁকে ফাঁকে তাদের ছেলে মেয়েরাও মাটির তৈরি সৌখিন সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত থাকে।
কালীগঞ্জে মাটির তৈরি তৈজস পাত্রের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে

Leave a comment