সোহেল আহমেদ, কালিগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে অন্যতম ঝিনাইদহের বাণিজ্যিক শহর বলে খ্যাত কালিগঞ্জ। এই শহরটি ইজিবাইক রিকশা ভ্যান আলম সাধুর ভটভটি লটপটি ও মোটরসাইকেলের নগরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা যানজটের কারণে নাকাল কালিগঞ্জ বাসি। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক সহ বিভিন্ন জরুরী রোগীর অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন পরিবহনে হাসপাতালে যাওয়া আশা এবং স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। প্রতিমাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ রেজুলেশন বইতে লেখা হয় দ্রুত রাস্তার সরকারি জমি ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে যানজট নিরেশন করা হবে। কিন্তু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ থাকে। অপরিকল্পিত নগরয়ন ও একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল রাস্তার জমি দখল করে মার্কেট সহ বড় বড় অট্টালিকা তৈরি করেছে। তারপরও রাস্তার দুধার দখল করে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছে। যত্রতত্র ভাবে রিক্সা ভ্যান ইজি বাইকের ইস্টার্ন তৈরি করে নিয়েছে । তাছাড়া ইদানিং একশ্রেণীর শ্রমিক ও বেকার যুবকরা কিস্তির টাকা তুলে ও বাকিতে ইজিবাইক রিক্সা ভ্যান আলম সাধু ভটভটি লটপটি ও মোটরসাইকেল ক্রয় করে ভাড়ায় পরিচালিত করছে। ট্রাফিক আইন না মেনে যেমন তেমন ও উল্টাপাল্টা এসব যানবাহন চলাচলের কারণে ব্যস্ততম এই শহরের রাস্তা গুলি সারাক্ষণ অর্থাৎ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা এই যানজটে পড়ে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পুরাতন বড় বাজারে কালীবাড়ির মোড়ে যানজট শুরু হলে মেম বাসস্টান্ড, নলডাঙ্গা রোড, থানা রোড, হাসপাতাল সড়ক, হাই স্কুল ও কলেজ রোডে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু সময় দেখা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করে যানজট নেশনে চেষ্টা করেন। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়িক শহর কালিগঞ্জ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ধান চাল পাট কলা পান ভুসিমাল বিখ্যাত গুড় পাটালি সহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন। এই শহরটি যানজট মুক্ত করতে এবং মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে হলে রাস্তা প্রশস্ত, বাইপাস সড়ক ও প্রয়োজনীয় ট্রাফিকের ব্যবস্থা করতে হবে বলে ভুক্তভোগী ও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।