কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসী হামলায় শহিদুল ইসলাম সোহাগ (৩৫) নামে একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা বাজার সংলগ্ন নিজ বাসার সামনে তাকে লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিয়াড় গ্রামের মৃত এলাহি বক্সের ছেলে। তিনি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আহত সাংবাদিককের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম সোহাগ উপজেলা বাজারে নিজ অফিসের দাফতরিক কাজ শেষে বাসায় ফিরে গেটের তালা খুলছিলেন। ওইসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর ও রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক সোহাগ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল থেকে নির্বিঘ্নে চলে যায়।
আহত সাংবাদিকের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পেশাগত কাজের জন্য সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক সোহাগের ওপর এমন হামলা চালিয়েছে বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক সোহাগ জানান, পেশাগত কাজ শেষে প্রতিদিনের মতো শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরে গ্রিলের তালা খুলছিলাম। এসময় ৩টা মোটরসাইকেল যোগে আসা হেলমেট পরা ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা ‘খুব বেড়ে গেছিস’ বলে লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম সোহাগের মাথা ও মুখমণ্ডলে লোহার রড ও ধারাল কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় ৭টা সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর শুনে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে দৌলতপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে যান এবং হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।