জন্মভূমি ডেস্ক : কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশের আইন অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে একটি বিশেষ আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবী এসব তথ্য দিয়েছেন।
তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করার এক দিন পরে এ নির্দেশ আসে। এর আগে ৫ আগস্ট তারিখে তাকে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
এখন ইমরান খানের সাজা স্থগিত হওয়ার পরও বিশেষ আদালত অ্যাটক জেলা কারাগারের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল যে পিটিআই প্রধানকে জেলবন্দী করে রাখতে। পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ওই অ্যাটক জেলেরই বন্দী অবস্থায় আছেন।
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত ওই বিশেষ আদালত বলেছে, তাকে বিচারিক কারণে জেলবন্দী থাকতে হবে। এছাড়া তাকে কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় আজ আদালতে হাজির করতে হবে।
সাইফার মামলাটি একটি কূটনীতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। জানা গেছে যে ওই কূটনীতিক বার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন ইমরান খান।
তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের অভিযোগ, ওই কূটনীতিক বার্তায় ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।
এক দিন আগে অ্যাটক জেল সুপারকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ইমরান খানকে কূটনীতিক বার্তা (সাইফার) প্রকাশের মামলায় বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত রাতে পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠিতে এ বিচার প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা উদ্বেগ জানিয়েছিল। অপরদিকে দেশটির আইন ও বিচার বিভাগ জানিয়েছে, কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় ইমরানের বিচারে তাদের আপত্তি নেই।