জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের কেরালায় একটি কনভেনশন সেন্টারে খ্রিস্টানদের প্রার্থনায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার খ্রিস্টান সম্প্রদায় জেহোভাহ’স উইটনেসের প্রার্থনার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বলা হয়, কেরালার কালামাসেরি শহরে প্রায় ২ হাজার মানুষ ওই প্রার্থনায় অংশ নেন। প্রার্থনার মধ্যেই প্রথম বিস্ফোরণটি হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা দুটি বিস্ফোরণ শুনেছি। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘কনভেনশন সেন্টারের মধ্যে আমরা সবাই প্রার্থনায় মগ্ন ছিলাম। তখন হঠাৎই পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হল। তিন থেকে চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। পড়ি মড়ি করে দৌড়ে বাইরে এসে প্রাণে বেঁচেছি।’
সূত্রের বরাত দিয়ে টিভি নাইনের খবরে বলা হয়েছে, এর্নাকুলামের একটি কনভেনশন সেন্টারে খ্রিস্টানদের একটি প্রার্থনাসভা চলছিল। সেই সময়ই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিতরে উপস্থিত সকলে দৌড়ে বাইরে পালানোর চেষ্টা করেন। হুড়োহুড়িতে অনেকে পড়ে যান। কমপক্ষে ১ জনের মৃত্যু ও ২০ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে নাশকতার ছক থাকতে পারে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বম্ব স্কোয়াড ও ফরেন্সিক টিম।
থ্রিকক্করের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার বেবি পিভি বলেন, ‘মাত্র ৫-১০ সেকেন্ডের মধ্যেই পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক টিম। এটা বোমা বিস্ফোরণ নাকি এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
বিস্ফোরণের ঘটনকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এ ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
প্রসঙ্গত, এর্নাকুলামে রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার ঘাঁটি। ভূকৌশলগত দিক থেকে এই জায়গাটির গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এদিন বিস্ফোরণের পর নৌসেনা ঘাঁটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।