
কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে গ্যাসের সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার কোথাও সরকারি দামে বিক্রি করা হচ্ছে না। বিপণনকারী কোম্পানি ভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। যে যতো বেশি দাম বলছেন, ক্রেতারা সেই দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু গতকাল সোমবার ওই মূল্যে কেশবপুর বাজারে গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি। সেনা এলপি গ্যাস, বিএম এলপি গ্যাস, ওমেরা এলপি গ্যাসসহ বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে ১ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়েছে। আর বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।
কেশবপুর উপজেলার বাগদহা গ্রামের মফিজুর রহমান নান্নু বলেন, তিনি বসুন্ধরা গ্যাস ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। খতিয়াখালী বাজারে জয়েন্ট ট্রেডার্সে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে যান মানিক মোদক। তার নিকট ১ হাজার ৭০০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন। মজিদপুর গ্রামের আবদুল হক, পৌর শহরের আলতাপোল এলাকার হাবিবুর রহমান, আলমগীর হোসেন বলেন, বাজারের বিভিন্ন দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করতে যান। তাদের নিকট ১ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বেশি দাম চাওয়া হয়েছে। সে হিসেবে বসুন্ধরা গ্যাস সরকারি মূল্য ছাড়াও ৩১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর অন্যান্য কোম্পানির গ্যাস সরকারি মূল্যের চেয়ে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত করার পরে কেশবপুরের ৪০ জন্য গ্যাস ব্যবসায়ী নতুন করে কমিটি গঠন করেছেন। একজন ব্যবসায়ী জানান, অযথা ভ্রাম্যমাণ আদালত করে হয়রানি করা হলে তাঁরা কেশবপুরে গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দেবেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, তাঁরা গ্যাসের সিলিন্ডারের বাজার নিয়মিত তদারকি করছেন। সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবেন।

