জন্মভূমি রিপোর্ট : প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের জন্য পয়:নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানি সরবরাহ সেবা সুনিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খুলনার চার মেয়র প্রার্থী। তারা বলেছেন, মহানগরীর উন্নয়নে শুধু জনপ্রতিনিধরাই নন, নাগরিকদেরও ভূমিকা রয়েছে। নাগরিকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করলে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা সম্ভব।
সোমবার বেলা এগারটায় সকালের নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘মেয়র প্রার্থীরা নাগরিক সমাজের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে এসব বক্তব্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থা সুশীলন কনসোর্টিয়াম ও পরিবর্তন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে এটিই প্রথম মেয়র প্রার্থীরা এক মঞ্চে হাজির হলেন।
সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মো. আ. আউয়াল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন বক্তব্য দেন।
নাগরিকদের বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেথ আশরাফ-উজ-জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র খুলনাঞ্চলের সমন্বয়কারি এ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি মিনা আজিজুর রহমান, তরুণ যুবাদের প্রতিনিধি ঝর্ণা আক্তার বৃষ্টি, শরিফ শাকিল বিন আলম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, খুলনা চেম্বার প্রতিনিধি মফিদুল ইসলাম টুটুল, শাহিন জামান পণ, মামুনুর রহমান হিরা ও ইসরাত জাহান হিরা প্রমুখ।
জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির সকলকে নিয়ে খুলনার জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা হবে।
ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, খুলনার জলাবদ্ধতা বর্তমানে অন্যতম সমস্যা। নির্বাচিত হলে মাদক, ছিনতাই, বেকারত্ব, দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়তে সকলকে নিয়ে কাজ করা হবে।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, দীর্ঘদিনেও নগরীর জলাবদ্ধতা, অবৈধ দখলদার, পাবলিক টয়লেটের অভাব, খাল, রাস্তাঘাট দখলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খুলনার এসব সমস্য দীর্ঘ দিনের। কিন্তু নির্বাচিতরা এ কাজ করেননি। তিনি সুযোগ পেলে প্রান্তিক মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করবো।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করবেন। এসব কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ড্রেন-সড়কের আমুল পরিবর্তন হবে। খুলনার মানুষের উন্নয়নে জনগণকে সাথে নিয়ে সর্বাত্নক চেষ্টা করে যাবেন।