
শেখ আব্দুল হামিদ : তীব্র শীতের কারণে কোল্ড ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে ক্ষেতে থাকা সবজি ফসল। শৈত্যপ্রবাহ এ ভাবে আরও কয়েক দিন পড়লে ফসলের ক্ষেতে ফাঙ্গাস জাতীয় রোগ দেখা দিতে পারে। শীতকালিন শাক-সবজি বাজারে উঠতে শুরু করায় মূল্য কিছুটা কমে আসে। ঠিক সেই মুহূর্তে শুরু হয়েছে তীব্রশীত। শীতের এ ব্যপকতায় সবজি চাষীদের মাঝে ফসল নিয়ে সংসয় দেখা দিয়েছে। বাজারে শাক-সবজির মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিন ধরে একটানা শীত পড়তে না পড়তেই দেয়া হয়েছে বৃষ্টি এবং শৈত্য প্রবাহের আভাস। সর্বত্র জেঁকে ধরেছে শীত। সব মিলিয়ে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাঠে থাকা ফসলের উপর। বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সীম, পেঁয়াজ, আলু সহ বিভিন্ন শাক-সবজি ক্ষেত ভরে রয়েছে। এসব পরিপূর্ণ ভাবে বাজারে উঠলে দাম কমে আসবে এমন ধারণা ছিল ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের। হঠাৎ কনকনে ঠান্ডা পড়তে শুরু করায় সে আশা অনেকটা কমে এসেছে। শীতের কারণে ফাঙ্গাস দেখা দিয়েছে ফসলে। কোন গাছই আর বাড়ছে না।
এসব কারণে ফসলের ক্ষতিতে বাজারে আরেক দফা মূল্য বাড়তে পারে। বাজারে নতুন ওঠা শীতের সবজি বাঁধাকপির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা দরে। ফুলকপি প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, পিয়াজকালি ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, পালন শাক ২০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা। বটিয়াঘাটা বাজারের শবজী ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মাঠে থাকা ফসল চাষিরা তুলতে পারছে না। তাছাড়া ঘন কুয়াশায় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। গত দশ দিন আগের তুলনায় শীতের তীব্রতায় সবজির মূল্য কিছুটা বেড়েছে। এ অবস্থা কয়েক দিন থাকলে সবজির দর আরও বেড়ে যাবে।
কৃষক দিনেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘুর্ণীঝড় বুলবুলের আঘাতের পর আমন ধন ক্ষেতের ফসল কারেন্ট পোকায় নষ্ট করে। অনেক ক্ষেতের ধান গাছ পুড়িয়ে দিয়ে নতুন করে বোরো চাষের চেষ্টা চলছে। এসময়ে ঠান্ডায় শীতের ফসল নষ্ট হতে চলেছে। তাই কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
বিষয়টি নিয়ে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, শৈত্যপ্রবাহ এবং কনকনে শীতের ঠান্ডা এ ভাবে কিছু দিন স্থায়ী হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। কোল্ড ইঞ্জুরির কারণে ফসলে বিভিন্ন প্রকার রোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এ অবস্থা দ্রুত কেটে গেলে ফসলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না।