সকল কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বেড়েছে
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পর্যায়ে ই-ফাইলিংয়ের অনেক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ই-নথি এবং সর্বশেষ ডি-নথিও চলে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে চালুর পর এ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ ফাইলের নিষ্পত্তি হয়েছে ডি-নথির মাধ্যমে। এর ফলে সকল কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বেড়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলে (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ডি-নথি বিষয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের ইনফরমেটিক্স ল্যাবে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব দপ্তর ডি-নথির আওতায় এসেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে ডি-নথির আওতায় আসবে। নতুন প্রযুক্তি যত সহজই হোক না কেন, খাপ খাওয়াতে সময় লাগে। প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ বিষয়ে আগ্রহী হয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি অর্জন সকলের বিষয়।
উপাচার্য বলেন, প্রতিটি জায়গায় আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সকলকে ডিজিটাল বেইজড সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। ডি-নথি বিষয়ে শতাধিক শিক্ষক ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাতে-কলমে তাদের এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ পেশাগত জীবনে কাজে আসবে। আগামীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসিআরও দেওয়া হবে প্রযুক্তির ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে। কারণ, যেকোনো ধরনের স্বীকৃতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, ডি-নথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ডি-নথি বিষয়ে কিছু ভুলে গেলে সবাই এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবে। ডি-নথি ব্যবহারের ফলে এখন নোট শিটের কোনো অংশ কাটা-ছেঁড়া যাবে না, তবে কাজের ক্ষেত্রে ভুল হলে পরবর্তীতে তা সংশোধন করা যাবে। আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডি-নথি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও ডি-নথি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম, আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার মো. ফারুক হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রাহুল দেব মহালদার ও রেজিস্ট্রারের সচিব হিমাদ্রী শেখর মণ্ডল। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।