জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় কালাবগি গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাগল চরানো কে ইস্যু বানিয়ে ২৭ জুলাই মঙ্গলবার আব্দুল মজিদ গাজী ও তার পরিবারের উপর পাশের বাড়ির লোকজন ও কতিপয় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়ির ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে করে আব্দুল মজিদ গাজীর পরিবারের তিনজন গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও তার মেয়ের উপর শ্রীলতাহানির ঘটনাও ঘটে তারা অচেতন অবস্হায় পড়ে ছিল । পরে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাঃ বলেছে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল মজিদ গাজী বাদী হয়ে দাকোপ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন পূর্বে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আব্দুল মজিদ গাজীর জমিতে আব্দুস সালাম সানা ও তার দুই ছেলে এসে ঘেরা দেয়। এই সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তাদের ভিতরে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে আমিন দিয়ে জমি মাপা মাপি হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আব্দুল মজিদ গাজী উল্টে আব্দুস সালাম সানার ভিতরে জমি পেয়ে যায়। সেই থেকে আব্দুস সালাম সানা ও তার পরিবার রাগ পুষে রাখে। যার কারণে বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী পরিবারের উপর ঝগড়াঝাটি করে চড়াও হয়। ঘটনার দিন ২৭ জুলাই মঙ্গলবার আব্দুল মজিদ গাজীর কন্যা আরিফা বেগম বেলা ১১ টার দিকে তাদের বাড়ির সামনে সরকারি খাস সম্পত্তিতে ছাগল চরাচ ছিলেন তখন আব্দুস সালাম সানার ছেলে আমান সানা এসে বারবার ছাগলটিকে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এই নিয়ে দুজনের ভিতর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বেলা ১২ টার দিকে ১.আমান সানা (২৪)পিতাঃ আব্দুস সালাম সানা। ২.আব্দুস সালাম সানা (৪৬)পিতাঃ মৃত মান্দার সানা। ৩.আহসান সানা (২০) পিতাঃআব্দুস সালাম সানা সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভুক্তভোগী পরিবারের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশেরলাঠি, দা, এবং লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ফলে আব্দুল মজিদ গাজী (৬৫),তার মেয়ে আরিফা বেগম (৩৫),নাতি তাজউদ্দীন জোয়াদ্দার (১৮)গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়েছিলেন, নাতি তাজউদ্দিনের মাথায় দায়ের কোপে ডিপ হয়ে খুব গুরুতর অবস্থা। এমনকি মেয়ে আরিফা বেগমের পরনের কাপড় পর্যন্ত ছিলনা। এ অবস্থায় এলাকাবাসী তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার বলেছে তাজউদ্দিনের অবস্থা খুবই খারাপ তাকে খুলনা আড়াইশো বেডে নিয়ে যাওয়া লাগবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল মজিদ গাজী বাদী হয়ে তার বড় নাতির মাধ্যমে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের পরিবারের লোকজন বলছে থানা থেকে বলেছে এক তারিখে বিষয়টি এজাহারভুক্ত হবে। ভিকটিমের পরিবার ও এলাকার সাধারণ মানুষ বলছে প্রতিপক্ষরা খুবই প্রভাবশালী ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। তাই এ বিষয়ে তাঁরা আইনানুগ সহায়তা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।