খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল প্রতিক্ষীত মহাসমাবেশ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সমাবেশ ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার বেলা ১টায় হেলিকপ্টার যোগে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সার্কিট হাউস মাঠে মহাসমাবেশমঞ্চ থেকে খুলনার ২৪ প্রকল্প ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। পদ্মা সেতু, রূপসা ব্রীজ, মোংলা বন্দর, শিপইয়ার্ড তার উদাহরণ। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে এই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফশীল ঘোষণার আগমুহূর্তে বিএনপি-জামাতের দফায় দফায় অবরোধ ২০১৪ সালের মত দেশকে আবারো অস্থিতিশীল করতে পারে।
বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনেই আসেনি। ২০১৮ সালে মাত্র ৬টি আসন পায়। ফলে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই ম্লান। আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তারা নিজেরাই সন্ধিহান।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা এদেশে নির্বাচন হতে দিতে চায় না। একটা অসামাজিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষ যদি ভালো থাকে সেটাই আমার পাওয়া। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। জনগণকে পরিবার হিসেবে আমি আপন করে নিয়েছি। তাই তাদের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে আপনাদের সেবার করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সেই সুযোগটা দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’
আমাদেরও প্রত্যাশা দেশের সকল দলের সহাবস্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকুক।