জন্মভূমি রিপোর্ট
বোরো মৌসুমে কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে ধান কাঁটা মেশিন কিনে দিচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বোরো ধান ঘরে তুলতে কৃষক বর্গাচাষীদের সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। ফলে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বৈশাখ মাসে যে কোন সময় কাল বৈশাখি ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতো রয়েছে। কৃষকের এই কষ্ট লাঘবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস্্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেলের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খুলনা মহানগর যুবলীগ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার তেরখাদার আজোগড়া ইউনিয়নের বাইশোখালি বিলে কৃষকদের মাঝে ধান কাঁটার মেশিন দান করা হয়। এ সময় মেশিন দিয়ে ধান কেঁটেও দেন নেতৃবৃন্দ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষক ফারুক মোল্লা বলেন, এক ঘন্টায় আমার এক বিঘার জমি কাঁটা হয়ে গেছে। মেশিন ছাড়া ধান কাঁটতে গেলে আমার চার জন দিন মজুর লাগতো। সময় লাগত আরো অনেক। লকডাউনের এই সময় দিনমজুরদেও বা ক্ষেত মজুরদের পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যা পাওয়া যাচ্ছে তার মূল্য অধিক।
পাশের জমির মালিক ইমরান মোল্লা বলেন, ক্ষেত মজুরের খরচ, বীজ ও সেচ এবং সারের খরচসহ সকল খরচ করে হাটে ধানের যে দাম পাওয়া যায়, তাতে আমাদের এবার লোকসানে পরতে হবে। এই মেশিন দিয়ে বিনাখরচে ধান কাঁটতে পারলে আমাদের লোকসান হবে না।
বর্গাচাষী আলাল মোল্লা বলেন, কাঁচি দিয়ে ধান কাটতে গেলে যেমন সময় ও পরিশ্রম লাগে কিন্তু মেশিন দিয়ে ধান কাটতে গেলে আপনার সেই সময় বা পরিশ্রম লাগবে না।
খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, আমাদের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কৃষকরা লাভাবন হলে আমাদের অর্থনীতি ভাল থাকবে। এ কারণেই আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ধান কাঁটার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
এ সময় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন বলেন, প্রতি বছরই খুলনায় আমন ও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে কৃষকরা এই ফসল ঘরে তুলতে বিপাকে পড়ছেন। লকডাউনের কারণে ক্ষেতমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। বৈশাখ মাসে যে কোন সময় কাল বৈশাখি ঝড় আঘাত আনলে এই ফসল মাঠেই নষ্ট হবে। এ কারণেই আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কারন কৃষক বাঁচলে, আমরা বাঁচব। এটা বর্তমান যুবলীগের নেতৃত্বের যে মানবিক কার্যক্রম তার অংশ হিসেবে খুলনায় আমরা বাস্তবায়ন করছি। খুলনা জেলার যে সকল উপজেলায় ধান তুলতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে সেই সকল স্থানে আমরা এই মেশিন দান করব। শুধু মেশিন দান করবই না আমরা এর পরিচালনার খরচও আমরা বহন করব। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবি পরিচালক, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র শেখ সোহেলের সহযোদিতায় আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শিবপদ রায়, হাবিবুর রহমান, দিকন, সাদ, যুবলীগ নেতা অভিজিৎ চক্রবর্ত দেবু, মসিউর রহমান সুমন, অভিজিৎ পাল, সোহেল বিশ^াস, আসাদুজ্জামান বাবু, জব্বার আলী হিরা, জহির আব্বাস, মাহামুদুল হাসান রাজেস, মুক্তাদুল ইসলাম সোহাগ, জামিল আহমেদ সোহাগ, সাগর মজুমদার, রবিউল ইসলাম রবি, রিপন, মোঃ রাসেল, রাহুল প্রমূখ।