জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর খুলনা সদর থানাধীন ২১ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার (৩৫) সোমবার দুপুরে পুরনো রেলস্টেশন এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধাঁরালো অস্ত্রাঘাতে নিহত হয়েছেন। নৃশংসতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় জনগন সাজ্জাদ নামে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যদিকে, সন্ধ্যায় একই থানা এলাকায় সন্ত্রাসীরা নওফেল (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে।
নিহত মানিক হওলাদার পুরাতন রেল স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা জনৈক মনসুর হাওলাদারের ছেলে। দুপুর সাড়ে ১২ টার পরে মানিক তার আবাসস্থল সংলগ্ন রেলওয়ে মসজিদের পেছনে অবস্থান করছিলেন। তখন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার সাজ্জাদ (৩৫), মেহেদী (৩০) এবং লালু (৩০) তার ওপর হামলে পড়ে। তারা মানিকের বুকের মাঝখানে ও পেটের বাম সাইডে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চার টার দিকে তার মৃত্যু হয়। কেএমপি’র এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
তিনি দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, মানিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সংগঠনটির ওই ওয়ার্ডের এক নেতার নেতৃত্বে ৪/৫ টি মোটর সাইকেল যোগে বিক্ষুব্ধরা লাঠি-সোটা নিয়ে বড়বাজার এলাকায় মহড়া দিয়েছেন।
খুলনা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহজাহান আহমেদ দৈনিক জন্মভুমিকে বলেন, নিহত মানিকের মরদেহ ময়না তদন্তের অপেক্ষায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার ও ঘাতকদের ব্যবহৃত ধাঁরালো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে, গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে- এক বন্ধুর সাথে মেলা-মেশাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আজমখান কমার্স কলেজের মধ্যে জাকারিয়া(২০) এবং ঝলক সিয়াম (২১)সহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী সরকারি সুন্দরবন কলেজের ছাত্র নওফেলকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। তাদের ধাঁরালো অস্ত্রাঘাতে ভিকটিমের বাম হাতের একটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। বাম হাটু রক্তাক্ত জখম হয়। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি সেখানকার সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি, কেউ গ্রেফতারও হয়নি।