জন্মভূমি ডেস্ক : প্রথমবারের মতো জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার শহিদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নে উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’।
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং জনগণকে কাঙ্খিত সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এ বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে হলে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নসহ সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সাধারণ জনগণের পাশে গিয়ে কাজ করে থাকে। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে হলে সিটি কর্পোশেনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও সাধারণ জনগণের মেলবন্ধন আরো দৃঢ় হবে এবং সেবাপ্রাপ্তি হবে সহজ ও ঝামেলামুক্ত। নগরীর উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ শেষ হলে খুলনা একটি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে বলে মেয়র আশা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইলসাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ফিরোজ শাহ, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান বক্তৃতা করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে করে।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শিববাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী মেলা ও স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রাত আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় ১৫টি স্টলের মাধ্যমে বিনামূল্যে সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।