শেখ আব্দুল হামিদ
ঈদুল আযহার দু’সপ্তাহ আগে থেকেই খুলনার বাজারে মসলার দাম উর্ধগতিতে। ঈদের আর মাত্র বাকী আছে এক দিন। এরই মধ্যে গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। প্রতিটি পণ্যে দাম বেড়েছে ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা বলছেন কোরবানীর ঈদ এলেই মসলার দর বাড়ে। তাছাড়া অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের দামও বৃদ্ধিতে আছে।
খুলনার কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি জিরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। একইভাবে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকা, মানভেদে এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, কাজু বাদাম ৯০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা ও কিছমিছ ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ ১৫ দিন আগে একই পণ্য প্রতিকেজি জিরা ৪২০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অনুরুপ ভাবে লবঙ্গ ১ হাজার ১০০ টাকা, এলাচ মানভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, কাজু বাদাম ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৬০০ টাকা ও কিছমিছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নগরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী আমীর হোসেন পাটয়ারী বলেন, গরম মসলা সাধারণত দেশের বাইরে থেকে আমদানী হয়ে থাকে। রোজার ঈদের পর থেকেই এর বাজার বাড়তে থাকে।
খুলনা সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী ইউনুস আলী বলেন, তেল, চাল, ডালসহ সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। আর কোরবানীর ঈদ আসলেই বেড়ে যায় মসলার দাম। বাজারে মসলা কিনতে আসা বসুপাড়া এলাকার সাজ্জাদ হোসেন রাজু বলেন, কোরবানীর সময় এলেই মসলা একটু বেশী কিনতে হয়। দাম এত বেড়েছে যে বেশী কেনা আর সম্ভব নয়। তাছাড়া চুইঝালের কেজি কিনতে হচ্ছে ১২ হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকায়। এ জন্য বেশী কোন কিছুই কেনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত এবং নি¤œ মধ্যবিত্তের মানুষ খুবই কম কোরবানী করতে পারেন। তারপরও তারা ওই দিন গরুর মাংস খেতে অল্প হলেও মসলা এবং অন্যান্য পণ্য কিনে থাকেন। তাছাড়া সয়াবিনসহ সকল প্রকার ভোজ্যতের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এসব কারণে এবারে ঈদের আনন্দ অনেকটা ¤øান হয়ে পড়েছে।