খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ খুলনার তেলিগাতীতে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার আমিনুল সরদারকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করার অবিযোগ পাওয়া গেছে। ড্রাইভার আমিনুল সরদার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের গাড়ীর কাজ না করিয়ে ভাউচার করে সমন্বয় করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গতকাল ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ১৯৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভেকু দিয়ে ফেলে কিছু গাছ বিক্রয়ের অভিযোগে খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কাজী আরিফূল ইসলাম বকুলসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রশিক্ষক কাজী মঈনুল ইসলাম বাবলুকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদানের অভিযোগে এনে খুলনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে ।
অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার(ব্যক্তিগত) আমিনুল সরদার গত ২৩/১১/২৩ তারিখ জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরোর মহাপরিচালকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে আমিনুল সরদার বলেন, অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম গত ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর যোগদানের পর থেকে কারনে অকারণে তুইতোকারি করে তার সাথে সর্বদা খারাপ আচারণ করতেন। গত ২০২১-২২ অর্থ বছর হতে অধ্যক্ষ গাড়ী মেরামতের বরাদ্দ ব্যায় দেখানো হলেও তিনি প্রকৃত পক্ষে গাড়ীর কোন কাজ না করিয়ে ভাউচার দিয়ে সমন্বয় করেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটাকরটির ময়লাকাদা পরিষ্কার করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রণব স্যারকে জানালে তিনি অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন। গত ২১/১১/২৩ তারিখ আমিনুল সরদার অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে উপস্থিত অনেক শিক্ষকের সামনে অধ্যক্ষ চেয়ার থেকে উঠে এসে আমিনুলকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে জামার কলার ধরে মারতে মারতে দেওয়ালের সাথে ঠেসে ধরে। এ সময় তিনি প্রাণ বাচাতে রুম থেকে দৌড়ে বাহিরে চলে যায়। অধ্যক্ষ কর্তৃক গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করায় তিনি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং ঘটনাটির তদন্তপুর্বক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমিনুল সরদার বলেন, গাড়ীর কাজ করাতে চাওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে শোকেজ করার জন্য স্যারের কক্ষে আমাকে ডেকে নেয়। দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই চেয়ার থেকে উঠে এসে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে ধরধর শুরু করে। আমাকে রুম থেকে বের করি দিয়ে তিনি নিজে নিজে নিজ কক্ষের টেবিল সহ বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে। পরে জানতে পারলাম আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাকে ফাসাতে মামলা দিতে নিজে এ নাটক সাজিয়ে সরকারি সম্পদ নষ্ট করেছে।
এছাড়াও অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভেকু দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সরকারি ১৯৫টি গাছ উপড়ে ফেলে সরকারি সম্পদ নষ্ট এবং চুরি করে বিক্রয়ের অবিযোগ করে খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দকা কাজী আমিনুল ইসলাম বকুল। এ বিষষটি দিঘলিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভুমি)কে তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়ে সহকারী কমিশনার মোঃ মাসুম বিল্লাহ। প্রতিষ্ঠানের সরকারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মঈনুল ইসলামকে অকর্থ্যভাষায় গালিগালাজ করে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদানে গত ৩/১০/২০২৩ তারিখে খুলনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ‘‘ক’’ অঞ্চলে মামলা করেছে মঈনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা ও সাজানো নাটক বলে দাবী করে তিনি চা খাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আসার আহবান জানান।
খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
Leave a comment