প্রতি কেজি ধান ৩০ ও ৪৪ টাকা : কৃষক সঠিক দাম পেয়ে খুশি
হারুন-অর-রশীদ : খুলনা বিভাগে চলছে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ। ২০২৩ মৌসুমে বোরো ধান ও চাল ৭মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। চলবে ৩১আগস্ট পর্যন্ত। ১হাজার ৯৩২টি সরকারি গুদামে এই সংগ্রহীত ধান ও চাল সংরক্ষণ করা হবে। চলতি মৌসুমে ধান ৫১৬৮৪ ও সিদ্ধ চাল ১৫৪০৩৭ মেট্টিকটন ১৮০ কেজি সংগ্রহ করা হবে। প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছেন ১২০০টাকা এবং চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭২০টাকা। এতে কৃষক খুশি।
মিল মালিকরা শুধুমাত্র সিদ্ধ চাল সরবরাহ করবে। এজন্য সরকারের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ধান ৩০ টাকা দরে এবং মিল মালিকদের কাছ থেকে ৪৪টাকা দরে চাল সংগ্রহ করছে। এ পর্যন্ত ৫৩ ৩ মেট্রিক টন ধান ও ২০৯৪২ মেট্রিকটন ৩৩০ কেজি চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকার ৭৪৫টি মিলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চাল সংগ্রহের জন্য। সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত ধান এবং বৈধ ও সচল চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করবে। প্রতিদিন সংগ্রহ বাড়ছে। খোলা বাজারে দাম বেশী হওয়ার কারণে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক দপ্তর সূত্র জানান, এ মৌসুমে খুলনা জেলায় চলতি অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৬৩ ও সিদ্ধ চাল ২৩৭৩৩ মেট্টিকটন ৯৯০কেজি। ৫৭টি মিল থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হবে। বাগেরহাট জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৫০৫ ও চাল ৮৯৫৩ মেট্রিকটন ৯৫০ কেজি। ১০টি মিল থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হবে। সাতক্ষীরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬১৯২ ও চাল ১৭৮০০ মেট্রিকটন ৯২০ কেজি। এই জেলায় ১৮৫টি মিল থেকে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৩৫৪০ এবং চাল ৩১৯৭১ মেট্রিকটন ৭৭০কেজি। ৮৭টি মিল থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে।ঝিনেদা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৮১১৪ ও চাল ১৩৭৫৩মেট্রিকটন ৬৮০কেজি। ৮১টি মিল থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে। মাগুরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১৮৬ ও চাল ৪২৯৮ মেট্রিকটন ৯৪০কেজি। ৪৬টি মিল মালিকরা সরকারি গুদামে এই চাল পৌছে দিবে। নড়াইল জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪২৪২ ও চাল ৫৪১৮ মেট্রিকটন ৯৬০ কেজি। ২৩টি মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০৯৮ ও চাল ৩৮৪৮৮১ মেট্রিকটন ৯৭০কেজি। ১৮৫টি সচল মিল থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬২৪ ও চাল ৯৫৭৩ মেট্রিকটন । এই জেলায় ৭০টি চাল কলের মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং মেহেরপুর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রযেছে ১০২০ ও চাল ৫০ মেট্রিকটন। এই জেলায় একটি মিলের সাথে সরকার চুক্তি বদ্ধ হয়েছে।
২০২১-২২ মৌসুমে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৫৯৪৮ মেট্টিকটন। সংগ্রহ হয়েছেল ১০৫৩৮১ মেট্টিকটন। কম সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৯ মেট্টিকটন। ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কম হয়েছে।
ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮২৫৯৫ মেট্টিকটন। সংগ্রহ হয়েছে করা হয়েছিল ৪৫০৩৫মেট্টিকটন ৬০০ কেজি। কম সংগ্রহ হয়েছে ৩৭,৪৬০মেট্টিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬২৫৯২ মেট্টিকটন ২৮৬ কেজি। মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়েছে ১৬২৫৯২.২৮৬ মেট্টিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪৩৮০৯ মেট্টিকটন ২৭০ কেজি। কম সংগ্রহ হয়েছে ১৮৭৮৩মেট্টিকটন ১৬ কেজি। রূপসার শিরগাতী গ্রামের কৃষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই মৌসুমে দাম বেশ ভালো। এই দামে ধান ও চাল বিক্রি করে তারা খুশি।
খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক মো. আব্দুস সালাম বলেন, অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালার আলোকে ধান ও চাল অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।