শেখ আব্দুল হামিদ
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় দ্রæত এগিয়ে চলেছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। আর এরই মধ্যদিয়ে পুরণ হতে যাচ্ছে মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রতি। খুলনার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রতিদিনই নতুন সাজে সজ্জিত হচ্ছে। গড়ে উঠছে তিলত্তমা খুলনা।
নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তার প্রতিশ্রæতিতে খুলনার জলাবদ্ধতা ও সড়ক ব্যবস্থায় উন্নয়নের কথা বলেন। নির্বাচনের পর শপথ গ্রহণের আগেই ১ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার দু’টি প্রকল্প নব নির্বাচিত মেয়র জমা দেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় প্রকল্প দু’টির অনুমোদন দেয়। পরে পরিকল্পনা কমিশনে যাচাই বাছাই শেষে একনেক সভায় পাশ হলেই তিনি কাজ শুরু করেন। প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প লাভ করেন। দু’টি প্রকল্পের মধ্যে ছিল কেসিসি’র জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা গুলি মেরামত এবং উন্নয়ন করা।
কেসিসি প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সড়ক মেরামত প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১৩টি এবং কেন্দ্রীয় ভাবে ৬০টিসহ ৫৭৩টি সড়ক মেরামত করা চলছে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদীসহ গুরুত্বপূর্ণ খাল খনন করে পাড় বাঁধাই, পানি নিস্কাশনে আটটি ¯øুইচ গেট পুন:নির্মাণ, নয়টি প্রধান সড়কের দু’পাশে ৬২ কিলোমিটার বড় ড্রেন এবং ১২৮ কিলোমিটার এলাকায় ছোট ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ময়ূর নদীর ওপর তিনটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
মহানগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে জিরো পয়েন্টগামী ফোরলেন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষের পথে রয়েছে। তাছাড়া নগরীর মুজগুন্নী মহাসড়ক, রূপসা শিপইয়ার্ড সড়ক, গল্লামারী থেকে বটিয়াঘাটা সড়ক, জয়বাংলা মোড় থেকে ময়ূরী ব্রিজ হয়ে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, মোস্তফার মোড় থেকে রায়েরমহল হয়ে বয়রা বাজার, শেখ আবু নাসের হাসপাতাল থেকে শহর বাইপাস সড়কই এখন যানচলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে উঠছে। শান্তিধাম মোড় থেকে শামছুর রহমান রোডে উন্নয়ন চলছে। এরই মধ্যে নগরীর অধিকাংশ ড্রেনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগেই পূরণ হতে চলেছে নগরবাসীর স্বপ্ন। খুলনা হয়ে উঠবে তিলোত্তমা নগরী।
খুলনা হবে তিলোত্তমা নগরী চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ
Leave a comment