জন্মভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত এ খবর জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মেঝেতে পড়ে আছে নিহত মানুষের সারি। যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন আহতরা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে স্কুলের মেঝে। মানুষ যে যেদিকে পারছেন সেদিকে ছুটছেন।
গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ থাকে। এই শরণার্থী শিবিরের ভেতরের কিছু বাসিন্দা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে পালিয়েছেন। আর অন্যরা কোনো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাননি। যে কারণে তারা ঘরবাড়ি, খামার, আবাদি জমি ছেড়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই শরণার্থীরা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্কুলগুলোও আর নিরাপদ নয়।
ইসরাইলের হামলায় ৫১ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি, যাদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।
প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসাসেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইসমাইল থাওয়াবতা আরও জানান, ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৭টি মসজিদ সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং ১৬৫টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার্চ ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে তিনটি।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্কুলে হামলা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এই উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।