জন্মভূমি ডেস্ক : যুদ্ধবিরতির পর গত এক দিনে গাজা উপত্যকার অন্তত ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে খান ইউনিস এলাকাতেই ৫০টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে একদিনে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ২৪০ জন নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকার সর্বত্র ‘শত শত বিমান হামলা, কামান ও নৌবাহিনীর বোমাবর্ষণে’ আরও ৬৫০ জন আহত হয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘বিশেষকরে খান ইউনিসকে টার্গেট করেছে। সেখানে তাদের কয়েক ডজন বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।’ এসব বাড়িঘরে বাসিন্দারা অবস্থান করছিল।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে আবার গাজায় পুরোদমে স্থল, নৌ ও আকাশ পথে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। রাতেও তারা ক্ষান্ত দেয়নি। পরদিন শনিবারেও একই মাত্রায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।
গত সপ্তায় দুই পক্ষ বন্দি ও জিম্মি বিনিময়ের জন্য প্রথমে চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। পরে আরও দুই দফায় তিন দিন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। যুদ্ধবিরতি শেষে আবার পূর্ণ মাত্রায় গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাজায় প্রবেশ করে আর এতেই হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুরো গাজায় শোনা যায় ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ফেলা লিফলেটে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, খান ইউনিসের পূর্বের অংশ ও সালাহ আল-দিন এলাকাকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধাঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সে কারণে সেখানকার লোকজনকে আরও দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্তের কাছাকাছি রাফায় সরে যেতে বলা হয়।
এলডার বলেন, এই হাসপাতালে যুদ্ধের শিকার শিশুদের আঘাত ও পোড়া ক্ষতের পাশাপাশি গোলাগুলিতে আহতের সংখ্যা এত বেশি, হাসপাতালটি তাল সামলাতে পারছে না।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় কাঙ্ক্ষিত ও প্রয়োজনীয় সহায়তা সামগ্রী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। খবর বিবিসির। গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাস ইসরাইলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।