জন্মভূমি ডেস্ক : গত ১৫ বছর ধরে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার তাগিদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা এড়িয়ে যাচ্ছিল। এবার সেই সনদে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে সই করেছেন। এ সময় বাকি উপদেষ্টারা করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন আগে এই সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ। পরে ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ্য। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করবে অন্তর্র্বতী সরকার।
গুমের হাত থেকে সব নাগরিকদের রক্ষায় ২০০৬ সালে ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদ গৃহীত হয়।
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের গোপন কারাগার থেকে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই কারাগার ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত।