জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীরাই অগ্রাধিকার পাবে বলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টানা তৃতীয় মেয়াদে রোববার (৯ জুন) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি ভবনে সাত রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সোমবার (১০ জুন) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘প্রতিবেশীরাই অগ্রাধিকার পাবে’ —শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের সঙ্গে দেখা করে মোদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং সমৃদ্ধির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তিনি জানান, ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মোদি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।
এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানেরা। সেই নৈশভোজে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে।
উল্লেখ্য, গত বছর মুইজ্জু মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসার পরই ভারত মহাসাগরের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। তারপরও মুইজ্জুকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সঙ্গে মোদির একান্তে কথা বলাকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমাতে শপথ নেওয়ার পরদিন থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন মোদি।
রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ প্রমুখ।
এই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে শুধু বিক্রমসিংহে পূর্বনির্ধারিত কাজের জন্য সোমবার (১০ জুন) দুপুরেই ভারত ছাড়বেন। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করবেন। তারপর তাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার কথা। যদিও এখনও মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়নি।
এদিকে, বিকেল ৫টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক। এরপরই ভারতের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম জানা যেতে পারে। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, আবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর।