জন্মভূমি ডেস্ক : চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা ব্যানার্জি । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে তার ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন সোমবার সন্ধ্যা ৭টায়। রাত ১২টার পর চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা জানান, বৈঠক সদর্থক। তাদের প্রায় সব দাবি মানা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারকে সরানো হচ্ছে। বাকিটা তারা বিক্ষোভস্থলে জানাবেন। খবর: ডয়চে ভেলের।
মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরনো হচ্ছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকেও সরানো হবে। তাদের সবাইকে অন্য পদ দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব? এবার আশা করছি, তারা কাজে ফিরবেন।
মমতা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি ছিল। তার মধ্যে প্রথমটি সিবিআই ও আদালতের বিষয়ে। বাকি চারটি দাবির মধ্যে তিনটি মেনে নিয়েছে সরকার। বিনীত গোয়েলকে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাকে তার পছন্দের পদ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মমতা বলেন, পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অভিষেক গুপ্তকেও সরানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি মেনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৌস্তভ নায়েক এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশিস হালদারকেও সরানো হচ্ছে।
মমতা জানান, কাউকে অসম্মান করা হয়নি। চিকিৎসকদের আস্থা নেই বলে ওদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবিমতো হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।
মমতা বলেন, ওদের পক্ষ থেকে ৪২ জন মিনিটসে স্বাক্ষর করেছে, সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্বাক্ষর করেছেন। বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া হচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের তাই বলছি, এবার কাজে ফিরুন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিধাননগরে বিক্ষোভস্থলে এসে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার জানান, রাজ্য সরকার আমাদের কাছে নতিস্বীকার করেছে। ৩৮ দিন পর আমাদের জয় হয়েছে। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স সকলের। সকলের সমর্থন না থাকলে এটা হতো না।
তারপরই তিনি জানিয়ে দেন, তারা আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে এখনই বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না। সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। তারা সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেও নজর রাখবেন।