জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি হেলথ গার্ডেন হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এক চিকিৎসকের চেম্বার হতে উদ্ধার হওয়া মাদক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আগামী ১২ অক্টোবর মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত দিন ধার্য্য করেছেন।
গত ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম চার তলা বিশিষ্ট ওই বেসরকারি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের ডাঃ সুমন রায়ের দু’ কক্ষ বিশিষ্ট “ডক্টরস্ ক্লাব” নামের চেম্বারে অভিযান চালায়। তখন সেখানে অবস্থানরত মোঃ আসাদুজ্জামান হীরার শরীর তল্লাশি করে এবং কক্ষের ভেতরের টেবিলের ড্রয়ার হতে এক হাজার ৬শ’ ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক কারবারের নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ হয়েছিল। এ ঘটনায় ইন্সপেক্টর মোঃ আতাউর রহমান মোঃ আসাদুজ্জামান হীরা (৪১) এবং ডাঃ সুমন রায় (৪০)’র বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তখন ডাঃ সুমন পলাতক ছিলেন। মামলার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর পারভীন আক্তার গত ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আসামি পক্ষের ডিসচার্জের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে তৎকালীন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ারব হোসেন ডাঃ সুমনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়েছিলেন এবং অপর আসামি আসাদুজ্জামান হীরার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন। হীরা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া আরও তিনটি মামলার আসামি।
আদালতের একটি সূত্র জানান, গত ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুন নেসা আগামী ১২ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পারভীন আক্তারের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য্য করেছেন। ইতোমধ্যে সাক্ষীর জন্য সমন জারি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, উদ্ধার হওয়া মাদকের সামান্য কিছু অংশ কেমিক্যাল টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। কোর্টে প্রদর্শনের জন্য ৩৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে বাকী ১৫শ’ ৮৪ পিস ইয়াবা আদালতের আদেশ মোতাবেক গত ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ধ্বংশ করা হয়। রক্ষিত ৩৩ পিস ইয়াবা, ৪৪ দশমিক ৯৯ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির এক লাখ ৩০ হাজার টাকা সীলগালাকৃত অবস্থায় চালানের মাধ্যমে আদালতে জমা দেয়া হয়েছিল।
চিকিৎসকের চেম্বার হতে মাদক উদ্ধার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ১২ অক্টোবর
Leave a comment