ক্রীড়া প্রতিবেদক : কাগজ-কলমের সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সে খানিকটা এগিয়েই ছিল ফরচুন বরিশাল। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজেদের পা মাটিতেই রেখেছিলেন। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ফাইনালকে আলাদা করে না দেখে অন্য একটা ম্যাচের মতোই দেখতে বলেছিলেন তিনি। মিরপুরে ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রত্যাশিতভাবেই ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তেমন শুরুই এনে দেন। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছেন ৭৬ রান।
কয়েক ওভারের ব্যবধান তামিম, ডেভিড মালান, হৃদয় এবং মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। ফাইনালের আগেরদিন তামিম মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মাঠে ফাইনালের চাপ সামলে যারা শান্ত থাকতে পারবে তাই বিপিএলের শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে। অধিনায়কের কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন কাইল মেয়ার্স। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাজে বলের অপেক্ষা করে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার।
ম্যাচ জিততে শেষ ২৪ বলে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। উইকেটে তখনও মেয়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন মোহাম্মদ নবি, রিশাদ হোসেনরা। এমন ব্যাটিং অর্ডার থাকায় সমীকরণটা খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা ছিল না বরিশালের জন্য। এমন সময় একই ওভারে ‘জীবন’ পেয়েছেন মেয়ার্স ও মাহমুদউল্লাহ। বল হাওয়ায় ভাসলেও চিটাগংয়ের কোন ফিল্ডারই সেটা লুফে নিতে পারেননি। যদিও দুটি ক্যাচ ছিল নো ম্যানস ল্যান্ডে।
যদিও পরের ওভারে ৪৬ রানের ইনিংস খেলা মেয়ার্সকে বিদায় করেন শরিফুল। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে চিটাগংকে ম্যাচে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার। ১২ বলে ২০ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে রিশাদকে রেখে ১৯তম ওভারে আউট হয়েছেন নবি। ফলে শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। হুসাইন তালাতের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে বরিশালকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান রিশাদ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দুই দলের রান সমান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এমন অবস্থায় এক বল ডট দেন তানভীর ইসলাম। যদিও পরের বলে ওয়াইড দিয়ে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন তালাত। ফলে চিটাগংকে ৩ উইকেট হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল। উল্টো দিকে এক যুগ পর বিপিএলে ফিরে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হলো চিটাগংয়ের। নিজেদের সবশেষ আসরে অর্থাৎ ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠলেও ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল তাদেরকে।