জন্মভূমি ডেস্ক : মাসখানেক ধরেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশ পায়। এ খবরে মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে এলো খবর।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বলছে, আজ কিন গ্যাংকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনসভা ওয়াং ইকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ৫৭ বছর বয়সী কিন গ্যাং। গত ২৫ জুন শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের আগে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কিন গ্যাং।
কী কারণে কিন গ্যাংকে তার দপ্তর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটি। তবে, তারা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
এএফপি জানিয়েছে, কিনকে শির আস্থাভাজন হিসেবেই দেখা হতো। অনেক বিশ্লেষকের মতে, কূটনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্যই দুই ঊর্ধ্বতনের সম্পর্কের উন্নতি হয় ও কিন গ্যাংকে দ্রুত ওপরের দিকেন স্থান অর্জন করে।
গত ২৫ জুন রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ড্রু রোডেনকোর সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠক করেন কিন গ্যাং। এরপর থেকেই তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। কিনের ভাগ্যে কি হবে তা নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরেই নিশ্চুপ অবস্থানে ছিল চীনের ক্ষমতাসীনরা।
কিন গ্যাংয়ের অনুপস্থিতির জেরে বিভিন্ন জল্পনাকল্পনা প্রকাশ পায়। তাকে নিজ দপ্তর থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলেও অনেকে দাবি করে। আবার অনেকে বলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।