জন্মভূমি রিপোর্ট : মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সৈকত হাসান রোহান হত্যা মামলার সকল আসামিকে নির্দোষ খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার বিভাগীয় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ প্রদান করেছেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার দু’ভাই মিজান ওরফে দাদো মিজান শেখ (৩৮) ও মিরাজ শেখ (৩৩)। তারা বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার নাতাবাড়িয়া গ্রামের সেকেন্দার শেখের ছেলে। পূর্ব বানিয়াখামারের শেখ জাহাংগীরের দু’ছেলে আল আমিন (৪০) ও তৌহিদ শেখ (২৮), আজিজ শেখের ছেলে ইকরাম ওরফে একরাম শেখ (৪৫), আব্দুল হাকিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলাম শিকদারের ছেলে মো: ইব্রাহিম শিকদার ওরফে খবিস (২২), মৃত. হাফিজুর রহমান সরদারের ছেলে হাসানুজ্জামান সরদার ওরফে আকাশ ওরফে কালা আকাশ (২৮), মো: বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রিয়াজুল (৩২), মৃত. হাজী আশরাফ আলীর ছেলে মো: জয়নাল আবেদীন ওরফে জনি (৩৫), রোকন উদ্দিন সড়কের মো: আবু আনসারীর ছেলে মো: শাহদাত আনসারী ওরফে ছোট (২৪), মিস্ত্রিপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মুরাদ ওরফে কালা মুরাদ (৩০), শেখপাড়ার শহীদ আবুল সড়কের সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে তুহিন ওরফে কালা তুহিন (২৮), আহসান আহম্মেদ রোডের রুস্তুম আলীর ছেলে মো: ইব্রাহিম আলী ওরফে রাজন (২৬), মিয়াপাড়ার সিরাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: বেল্লাল শেখ (২২) ও হায়দারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: আব্দুর রাজ্জাক (২৯)।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট রাত পৌঁনে ১১টার দিকে নগরীর আহসান আহমেদ রোডের পিটিআই মোড় সংলগ্ন তপন স্টোরের সামনে ১০/১২জন অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জেরে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সৈকত রোহান (২৫) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এসময় তারা রোহানের দু’হাতের কবজী, দু’পায়ের রগ কেটে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌঁনে ১২টার দিকে রোহানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর ১১জনের বিরুদ্ধে সংশোধিত এজাহার জমা দেন রোহানের মা রাশিদা বেগম। ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র এসআই মো: সফিউল আলম ১৫জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৮জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১২জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. আরিফ মাহমুদ লিটন।