জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বাংলাদেশকে অবগত করবে।
সুইজারল্যান্ডে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভার অবসরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক। পাঁচ দিনব্যাপী এই ফেরাম গত ২০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিতে গত সোমবার ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, একই সময়ের মধ্যে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। প্রকৃত চিত্র উপস্থাপনে এই প্রতিবেদনগুলো একে অপরকে সম্পূরক হতে পারে। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। মিয়ানমার থেকে লক্ষাধিক নতুন শরণার্থীর কারণে বিহত কয়েক মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে অবহিত করেন তিনি। নতুন রোহিঙ্গাদের আসা বন্ধ করতে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেন ড. ইউনূস। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তুর্ক বলেন, তিনি মিয়ানমারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছেন।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম।