জন্মভূমি রিপোর্ট : ডুমুরিয়া উপজেলার রানাই আলিয়া মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া (১৩) কে দুর্বৃত্বরা গত ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত ২৩ দিনেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করতে পারেন নি। ভিকটিমের পিতা মোঃ রেজাউল গাজী ৩ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিকার পাননি। সর্বশেষ তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২০ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে নালিশি দরখাস্ত দাখিল করেন।
ভিকটিম পক্ষের এডভোকেট মোঃ মোশাররফ হোসেন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলরুবা সুলতানা দরখাস্তটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্তৃপক্ষের উপর তদন্তভার অর্পণ করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, রিপন গাজী (৩২), জলিল গাজী (৫৭) এবং ফাতেমা বেগম (৪৫)। তারা সবাই ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ এবং নালিশি দরখাস্ত থেকে জানা গেছে, ভিকটিমের পিতা রেজাউল স্থানীয় একটি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করাকালীন ইটের পাজা শরীরে পড়ে গুরুতর আহত হন। এখন তিনি কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করে পেট চালান। ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে মাদ্রাসার নিকটতম দূরত্বে অবস্থানরত একটি মাহিন্দ্রায় দুবৃত্বরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত রিপন ওই শিশুর পিতাকে ফোন করে নিজেদের অবস্থানের কথা জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।