জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া : খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশে বড় বড় গাছ যে যার মত কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থাণীয়দের অভিমত রয়েছে। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায় শাহপুর- ফুলতলা সড়কের রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশের বিশালাকৃতির একটি শিরিষ গাছ স্থানীয় রাইস মিল মালিক অসীম সাহা শ্রমিক নিয়ে কেটে ফেলছে। ওই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ইতোমধ্যে তিনি গাছের সকল ডালপালা নিয়ে গেছেন। বিকেল পর্যন্ত পড়ে ছিল গাছের গুড়ি। সড়কের পাশের গাছ কেন কাটা হচ্ছে এ কথা জানতে চাইলে অসীম সাহা সাংবাদিক জি এম ফিরোজের উপর রাগান্নিত হন। পরে আশপাশের লোকজন এসে পড়লে অসীম শান্ত হন। এ বিষয়ে অসীম সাহা জানান, আগে গাছ কাটতে গেলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। সে অনুযায়ি গত ১৫/২০দিন গাছ কাটিনি। পরে স্থাণীয়ভাবে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে স্কেচ করে গাছ আামার জমির মধ্যে ও নিজের রোপনকৃত গাছ তাই কেটে নিচ্ছি। এছাড়া এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়, একইদিনে বরুনা বাজারের কাছে ছয়বাড়িয়া আলআমিনের বাড়ীর সামনে সড়কের দুটি শিরিষ গাছ স্থানীয় শহিদুল জোয়াদ্দার কেটে নিয়ে গেছেন।সরকারি রাস্তার পাশের এসব গাছ কেটে নিয়ে যাওযায় প্রশাসনের তদারকি না থাকাকে দায়ি করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।এ বিষযে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কেটে নিতে পারে না। তিনি জানান ওই গাছ জেলা পরিষদের মালিকানার বলে জানি। তবে যেহেতু ওই সড়কটি বর্তমানে সড়ক বিভাগের তাই খোজ নিযে ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষযে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার শরীফ আসিফ রহমান জানান, বিনা অনুমতিতে কেউ জীবন্ত গাছ কাটতে পারবে না। তাছাড়া সরকারি রাস্তা বা কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানার গাছ হলে আইনত ও কতিপয় পদ্দতি অনুসরন করেই তবে গাছ কাটা যাবে।
ডুমুরিয়ায় সরকরি রাস্তার পাশের গাছ হরিলুট
Leave a comment