শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নিয়োগ বানিজ্য থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে খ্যান্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সিংহভাগ পকেট¯’ করেছেন। গায়েব করা হয়েছে শহীদ মিনারের টাকা। বরাদ্দের অর্ধ যুগে পরেও বসেনি স্যোলার প্যানেল। গভীর নলক’প হয়ে গেছে অগভীর। সরেজমিন যেয়ে এবং লিখিত অভিযোগ সুত্রে এবং একাধিক দাত্বিশীল সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী বাংলা বিভাগের প্রভাষক এম এম আলাউদ্দীন জানান, এ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানে দু’বার সরকারি অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। সাবেক ভ’মি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের ব্যক্তিগত সহকারি শমীর দে গোরা প্রথমে বরাদ্দ করান ৩ লাখ টাকা। পরে আবারও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। তবে মজার ব্যাপার ওই প্রতিষ্ঠানে এখনও কোন শহীদ মিনার নির্মান করা হয়নি। তবে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত টাকার প্রকল্পের সভাপতি প্রভাষক গফ্ফার বাওয়ালী বলেন, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা শহীদ মিনার বরাদ্দের জন্য পেয়েছিলাম। তবে সে টাকাটি অধ্যক্ষ দোতলা ভবন নির্মানে ব্যয় করা হবে বলে আমার কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি জানান। মাঠ ভরাটের জন্য ১৬ টন চাল বরাদ্দ হয় বলে জানান প্রভাষক এম এম আলাউদ্দীন। চায়ের দোকানদার রফিকুল দফাদার ২৬ হাজার টাকার মাটি ওই মাাঠে দেয়। বাকি টাকা খর্নিয়া হোটেলে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে গোরার মধ্য¯’তায় ভাগবাটোয়ারা করা হয় বলে তিনি জানান। প্রতিষ্ঠানটিতে স্যোলার প্যানেল ¯’াপনের জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। অধ্যক্ষের অপকর্মের অন্যতম সহযোগী প্রভাষক গফ্ফার বাওয়ালী ওই স্যোলার প্যানেল না বসিয়ে সকল টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগকারীদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আজও প্রতিষ্ঠানটিতে সেটি লাগানো হয়নি। তবে প্রভাষক গফ্ফার বাওয়ালী বলেন, ওই টাকা দিয়ে স্যোলার প্যানেল না বসিয়ে জেনারেল শাখার লম্বা একটি টিন সেড ঘর নির্মান করা হয়েছে। তিনি বলেন, গনিতের প্রভাষক তপন পশারীর মাধ্যমে গোরা দা’ ওই ৮০ হাজার টাকার ব্যব¯’া করে দিয়েছিলেন। এছাড়া গেল অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আশীফ রহমানের প্রতিশ্রতি অনুযায়ি ভবন সংস্কারের জন্য দু’লাখ টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটির অফিস কক্ষ দেখে হতবাক হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলেন। অথচ সেই অফিস কক্ষ যে তিমিওে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। একটি গভীর নলক’প ¯’াপনের জন্য ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। উল্লেখ্য ওই এলাকায় ১৬০০ ফুটের গভীরে সুপেয় পানি পাওয়া যায়। সেখানে মাত্র ৪০০ ফুট গভীরের নলক’প ¯’াপন করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তবে সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, আরাঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের মধ্যে কোথায়ও কোন প্রকার শহীদ মিনার নেই। কোন কক্ষে সোলারের কোন অ¯ি’ত নেই। নলক’পের ব্যাপারে বেশ কয়েকজন জানান সকালের এসে দুপুরে নলক’প বসানো শেষ হয়েছে। তবে এসব ব্যাপারে কোন প্রশ্নের উত্তর না নিয়ে অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার কৌশলে সংবাদ কর্মীদের তার কক্ষে রেখে কলেজ ত্যাগ করেন।