
জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেচুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক নারী অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনতার সাথে পরকীয়া প্রেমিকসহ ধরা পড়ে। সেসময়ে স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় ধামাচাপা দেয়া হয়। কিন্তু অনৈদিক কাজে জড়িত ওই নারী এখন পর্যন্ত স্কুলে দায়িত্বপালন করায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিযে উপজেলা নির্বাহি অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত ওই আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, চেচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া সোনিয়া বেগম পাশর্^বর্তি মাহাবুর মোল্লার সাথে পরকীয়া পেমে জড়িয়ে পড়ে। চলতি মাসের ১০ তারিখেডুমুরিয়ায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়। মাহাবুর রহমান (৪৫) নামের ওই যুবককে করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়েপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই স্থানীয় ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে মাহাবুর রহমান এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি,এটা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
সোনিয়া বেগম জানান, আমাকে জড়িয়ে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
চেচুড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১০ তারিখ রাতে মাহাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় তাকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের জিম্মায়দেয়া হয়।
ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জহুরুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর উভয় পক্ষকে ডেকে বসাবসি করে মিমাংসা করে দেয়া হয়। কিন্তু এরপর কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে চেচুড়ী কে.বি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম কামরুজ্জামান বলেন আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি আজ একটি নিয়োগ পরীক্ষা আছে। এরপর সোনিয়া কেন্দ্রিক অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষযে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, চেঁচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া সোনিয়া বেগমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।