
জন্মভূমি রিপোর্ট : ডুমুরিয়ায় বিএনপির বিতর্কিত কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এই সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে উপজেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে ঘোষিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এছাড়া ৩ দিনের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনের কথা বলা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্য ও ডুমুরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল রাতে রাজনৈতিক কর্মীরা যখন নিজ-নিজ এলাকায় ঈদ পুনর্মিলনী কাজে ব্যস্ত, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডায় ব্যস্ত ঠিক তখনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত একটি কমিটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়। আমরা হতবাক হয়েছি এই ভেবে যে, বিগত দিনের আহবায়ক কমিটি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত। সেই কমিটিকে বাইপাস করে আহবায়ক সদস্য সচিবের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যুক্ত লোক দিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীদের বাদ দিয়ে যাকে আহবায়ক করা হয়েছে তিনি জেলা বিএনপির ৫ নম্বর যুগ্ম-আহবায়ক। অথচ দলের ঘোষণা এক নেতা, এক পদ। সেই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবে পুনরায় মনোনীত করা হয়েছে। আর সদস্য সচিব হিসেবে যাকে মনোনীত করা হয়েছে তাকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অথবা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মানায়। ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে কখনও কোনদিন তার এমন কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল না যে তাকে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে তিনি দাবি করতে পারেন। সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর মোড়ল, ফরহাদ হোসেন, শহিদুজ্জামান শহিদ, মশিউর রহমান লিটন, হাবিবুর রহমান হবি, পরিতোষ কুমার বালা, নজরুল ইসলাম মোড়ল, আজমল হুদা মিঠু, শেখ শাহিনুর রহমান শাহিনসহ অসংখ্য ত্যাগী রাজনৈতিক পরীক্ষিত কর্মী যারা পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া তাদেরকে বাদ দিয়েছে যে কমিটি করা হয়েছে সেই কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সাথে জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং সদস্য সচিবকে ডুমুরিয়ার মত ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক মাটিতে তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে ৩ দিনের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।