এস রফিক, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ার মাগুরখালি-শোভনা দুই ইউনিয়নের সীমান্তে শেখেরট্যাক-বারুইকাটি কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশা। জনসাধারণের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে কাদামাটির মধ্যদিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কৃষকদের। যুগ যুগ ধরে এ কাচা রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেই কোন জনপ্রতিনিধির। এ যেন দেখার কেউ নেই ? এ অভিযোগ সর্ব সাধারণের।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মাগুরখালি-শোভনা দুই ইউনিয়নের দূর্গম জনপদের শেখেরট্যাক হতে বারুইকাটি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি আজও পাকাকরণ করা হয়নি। রাস্তাটি দিয়ে শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলার একাংশ, রারুইকাটি ও মাগুরখালীর শেখেরট্যাক, আমুড়বুনিয়ার অধিকাংশ লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। ভারী কোন যানবাহন চলাচল না করলেও প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লী সহ ৪/৫ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ চলাচল করে। এ অঞ্চলের কৃষকরা শুকনো মৌসুমে ধুলা বালি আর বর্ষা মৌসুমে হাঁটু কাদা ভেঙে অতি কষ্টে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ও মাছ বাজারজাত করতে মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটে চলতে হয় তাদের। সম্প্রতি কালে অতি বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি পানিতে মিশে গিয়ে ধান রোপন যোগ্য আবাদী জমিতে রুপ নিয়েছে। ফলে রাস্তাটি ব্যবহারে চরম অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন মূর্মূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বানায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক মিলন মন্ডল, নুরুজ্জামান শেখ, শহিদুল হাওলাদার,গোলক মন্ডল,মোবারক শেখ, সরোজিৎ বিশ্বাস,মহানন্দ সরদার একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, জনদূর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোজ সরকার বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য চেয়ারম্যান মহোদয়কে একাধিকবার জানানো হয়েছে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোহাঃ রবিউল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত রাস্তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা নেই তবে তবে গ্রামীণ ওই সকল রাস্তা পর্যায়ক্রমে পাকা করণ করা হবে।
ডুমুরিয়ার মাগুরখালি-শোভনা দুই ইউনিয়নের সীমান্ত রাস্তাটির বেহাল দশা
Leave a comment