শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া বাজারে নিত্যপণ্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, মাছ-মাংস, আটা-ময়দা, সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম দিন-দিন নাগালের বাইরে যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে চলছে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি ও অভিযান। কিন্তু এতে মিলছে না সুফল। ভোক্তারা বলেছেন, রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেসব পণ্যের দাম অযথা বৃদ্ধি হয়। আর এখন বাজারের সব পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী। নিম্ন সাধারণ মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। খাদ্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি তাদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডুমুরিয়া বাজার, চুকনগর বাজার, শাহাপুর বাজার, আবারো মাইল বাজার, আমবিটা বাজার, থুকড়া বাজার, বানিয়াখালি বাজার ও মাদারতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৫ দিন আগেও বড় দানার মসুর ডাল ছিল প্রতিকেজি ৮৫ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। খোলা সয়াবিনের দাম ছিলো ১১৭৫ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন ১৩০-১৩৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। একইভাবে চিনি ৬৫-৭০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। গুঁড়া দুধের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৫০০- ৬৩০ টাকা। এখন একই মানের দুধের দাম ৬৯০-৭০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১১০-১২০ থেকে বেড়ে এখন ১৬০-১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরু চালের দাম ছিলো ৫৮-৬৪ টাকার মধ্যে। এখন একই মানের চাল বিক্রি হচ্ছে এখন ৭০/৮০ টাকায়। তবে যেকোনো ধরনের মোটা চাল ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। আলু দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। একমাস আগেও আলু কেজি ছিলো সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। সেই আলু এখন ৪৪-৪৫ টাকা কেজি। এছাড়া পটল, বেগুন, বরবটি, কাকরোল, কচুর গাটি, করলা, টমেটো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আগে যে লাউ মিলতো ৪০ টাকায়, সেই লাউ এখন ৮০-৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর দেশি টমেটো বিক্রি চ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। গরুর মাংসের দাম ৬৫০ থেকে বেড়ে একলাফে ৭০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ায় পরিবারগুলোতে তৈরি হয়েছে বাজার ভীতি। টিসিবির লাইনও দেখা যাচ্ছে অনেক দীর্ঘ। অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন।
বাজারে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ আসিফ রহমান বলেন, বাজারে তেল পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম যেন অযথা না বাড়ে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন প্রতিনিয়ত নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। টিসিবি অনেক বড় একটা সাপোর্ট নিয়ে আসছে। আমরা সেটাও সঠিকভাবে মনিটরিং করবো।