বহু চেষ্টা, তদবির, দৌড়ঝাঁপ করেও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে খুলনার ডুমুরিয়ার সেই আলোচিত ক্লিনিক মালিকসহ ৭/৮ জনের নামে আবারও মামলা হয়েছে থানায়। ক্লিনিক মালিকসহ সকল আসামীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে চুকনগরের পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলাধীন চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জমাদ্দার গাজীর পুত্র হেলাল উদ্দিন গাজী তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী মোসা: ইয়াসমিন বেগমকেকে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর শহরের সাতক্ষীরা রোডের হালিমা মেমোরিয়াল নাসিং হোম নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আসেন। এসময় ক্লিনিক কতৃপক্ষ আল্ট্রা¯েœাগ্রাম করে বলেন, মা ও অনাগত সন্তান সুস্থ আছে তবে জরুরিভাবে সিজার না করলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এমতাবস্থায়, হেলালকে বিকেল ৫টার দিকে কিছু জরুরি ঔষধ আনার জন্যে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে নাসিমাকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অপরেশন থিয়েটার থেকে নবজাতককে বের করে দিয়ে বলে বাচ্চার অবস্থা খারাপ দ্রæত খুলনায় নিতে হবে। তখন দেখা যায় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়েছে কিন্তু ভুল অপরেশনের ফলে তার পেট কেটে নাড়ি ভুড়ি বেরিয়ে এসেছে। এমতাবস্থায়, বাচ্চাটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খুলনা থেকে ফিরে এসে ক্লিনিক কতৃপক্ষের কাছে বাচ্চা মারা যাওয়ার কারন জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হেলালের উপর চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি ধামকি দিয়ে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। এব্যাপারে হেলাল উদ্দিন গত ১ অক্টোবর ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারের ভিত্তিতে ২ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ডুমুরিয়া থানার এস আই হাফিজুর রহমান সরেজমিন তদন্তে আসেন, তদন্তের প্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবর তারিখে মামলাটি রেকর্ড হয়, মামলা নম্বর-০৮, তারিখ-০৪/১০/২০২০। মামলায় ৪জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার বে-সরকারী সংস্থা ঋ-শিল্পির মেডিকেল অফিসার ডা: বরকত আলী অপরেশনটি করেছেন। সিজারের পরে বাচ্চাটিকে ওই অবস্থাতেই বের করা হয়েছে। কিন্তু ভ‚মিষ্ট হওয়ার সময় সে জিবিত ছিল, একারনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। এস আই হামিদুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন, আসামীরা পলাতক রয়েছে তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।